নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ :
বক্তাবলীর আলোচিত আলমগীর হত্যাকান্ড নিয়ে এবার ওই এলাকার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলমগীর একজন অপরাধী ছিলো এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি তাকে হত্যা করা হয়েছে এটাও সত্য। সে চোর ডাকাত যাই হোক না কেনো তাকে হত্যা করার অধিকার কারো নেই বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, আমি যতোটুকু জানি ফারুক মেম্বারের সাথে আলমগীরের টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের বিষয়টি মেম্বারের আত্নীয়স্বজন জেনেছে। তাই হত্যাকান্ডটি গণপিটুনির মতোই ঘটেছে।
প্রসঙ্গত ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর নিবাসী আলমগীর হোসেনকে নৃসংস ভাবে খুন করা হয় গত ২১ মার্চ। কিন্তু এই নির্মম হত্যাকান্ডেকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্ঠা করছে একটি চক্র। অভিযোগ পাওয়া গেছে খুনী চক্রের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে একটি মহল এই নির্মম হত্যাকান্ডকে জায়েজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের লেখালেখির ভাবখানা এরকম যেনো আলমগীর একজন সন্ত্রাসী ছিলো তাই তাকে হত্যা করা ঠিক হয়েছে। একজন মানুষকে নৃসংস ভাবে খুন করার পর নাকি এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরন করেছে এমন গল্পও প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বক্তাবলীবাসী মনে করেন আলমগীর যদি কোনো অপরাধীও হয়ে থাকে তারপরেও তাকে খুন করার অধিকার কারো নেই। আলমগীর যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে সেটা দেখবে পুলিশ প্রশাসন এবং আইন আদালত। একজন মানুষকে বিনা বিচারে এমন নির্মমভাবে খুন করার অধিকার খুনী চক্রকে কে দিয়েছে এই প্রশ্ন করছে বক্তাবলীর সাধারন মানুষ।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কারা কিভাবে আলমগীরকে হত্যা করেছে সেটা এখন স্পষ্ট। এরই মাঝে র্যাব এবং পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে। আলমগীরকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তার নির্মম বর্ণনা দিয়ে তার স্ত্রীর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে বক্তাবলীবাসী সহ ফতুল্লাবাসীর মাঝে ভিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সর্বস্তরের সাধারন মানুষ এই হত্যাকান্ডের বিচার চাইছে। এছাড়া সরেজমিনে লক্ষ্মীনগর গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামবাসীও এই হত্যাকান্ডের বিচার চায়। তারা মনে করেন, এই নৃসংস হত্যাকান্ডের পর খুনীরা যদি পার পেয়ে যায় তাহলে এলাকায় আরো খুনের ঘটনা ঘটবে। বেপরোয়া হয়ে উঠবে খুনী চক্র। তাই কোনো মতেই যেনো খুনীরা পার পেয়ে না যায় সেই প্রত্যাশা করছে ওই গ্রামের মানুষ।
তারা আরো জানান, আলমগীরকে খুন করার পর খুনীদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছে একটি চক্র। এরই মাঝে তারা পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টাকা পয়সা ছিটিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গালগল্প লিখানো হচ্ছে। এলাকাবাসীর পরিস্কার বক্তব্য হলো কোনো মতেই এমন একটি নির্মম হত্যাকান্ড ঘটানোর পর খুনীরা যেনো বাঁচতে না পারে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত চায় বক্তবলী এলাকাবাসী।