নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আজকে বাংলাদেশ কোন পথে চলছে ভ্যাটটেক্স দেওয়ার পরও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি আমরা ঠিক মত পাইনা এই ভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
রুটি যেমন গরম তাওয়াতে দিলে উল্টাতে হয়, তা’না হলে রুটি পুরে যায়। ঠিক তেমনি এই সরকারকে উল্টাতে হবে আর নয়তো তাদের দুর্নীতির কাছে এদেশের জনগণ পুরে যাবে। তাই আপনাদের সকলকে সজাগ হতে হবে। এই সরকারের পরির্বতনেই দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন চাই, সেখানে আপনারা যাদেরকে পছন্দ করবেন তাদেরকে ভোট দিবেন। কিন্তু ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সেই জন্য আগামী ঈদের পরে গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে আপনাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ দোয়া ও রান্না করার খাবার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সভাপতি ও মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মিলাদ দোয়ায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক দিদার খন্দকার,
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন শেখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল আরও বলেন, আজকে যারা মাকের্টে এই অনুষ্ঠান করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন সেই জন্য সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। এই মাকের্টে যারা ব্যবসা করেন তারা অধিকাংশই বিক্রমপুরের।
এই বিক্রমপুরের সাথে আমাদের একটা আত্মারসর্ম্পক রয়েছে। আমি দেখেছি সাবেক সাংসদ প্রয়াত জালাল হাজী ও এ্যাড আবুল কালামের সময় দেখেছি আপনারা যতটুকু পারেন অমাদের জন্য করেন। সেই জন্য আমরা আপনাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহন করার আহবান করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে এই দর্জি শ্রমিক দলের রবিউলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো। আর এই ফ্যাসিবাদী সরকার যুবদল নেতা শাওনকেও গুলি করে হত্যা করেছে। এই ভাবে ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। প্রতিটি হত্যার বিচার এদেশের মাটিতে হবে।
তাই এই মুর্হুতে আমাদের একটাই দাবি আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো। তাই আসুন দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়ার পর উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম টিটু, পারভেজ মল্লিক, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাফী, শহীদ হাসান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।