নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কমিটি কবে হবে তা জানেনা কেউ। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা পরিস্কার করে কিছু বলতে পারেন নি।
এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মাঝে রয়েছেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন, বদিউল আলম, রঞ্জিত মন্ডল, সালাউদ্দিন মেম্বার, কামরুল মেম্বার, আতাউর মেম্বার, সাবেক মেম্বার মীর জাকারিয়া জাকির।
কবে নাগাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ করেননি আসাদুজ্জামান।
এদিকে, তৃনমূল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ করা হলে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে তৃনমূল নেতারা জানান কিছু ওয়ার্ডে এখন ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে তোড়জোড় চলছে, তবে ইউনিয়ন কমিটি কবে হবে সেটা এখনও অনিশ্চিত।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসনগাঁও এলাকার একজন তৃণমূল নেতা বলেন, এই ইউনিয়নের বড় নেতা হলেন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। আর ইউনিয়ন কমিটি করার ক্ষেত্রে মূল নেতৃত্ব দেবেন থানা সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল চেয়ারম্যান এবং সাধারন সম্পাদক শওকত আলী চেয়ারম্যান। তাই এনায়েতনগর ইউনিয়ন নিয়ে তারা এখন কি ভাবছেন সেটা কারো জানা নেই।
তিনি বলেন, আমরা যখন আমাদের চেয়ারম্যান এবং থানার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাছে জানতে চাই তখন তারা বলেন শিগগিরই নতুন কমিটি হবে। তারা ইউনিয়ন কমিটির কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো এখনো এনায়েতনগর ইউনিয়নের কোনো ওয়ার্ড কমিটিই গঠন হয়নি। তাহলে ইউনিয়ন কমিটি গঠন হবে কি করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলের এ নেতা বলেন, আসলে বড় নেতারা নিজেদেরটা বুঝেন ষোলো আনা। তারাতো নিজেদের পদে আসিন হয়েছেন অনেক দিন হলো। কিন্তু তৃনমূলের নেতা তৈরীতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইন্তেকাল করেছেন অনেক দিন হলো। তাই এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো সভাপতি নেই। শুনেছি এখানে নতুন করে সালাউদ্দিন মেম্বারকে সভাপতি করা হবে। সাধারন সম্পাদক পদেও পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
তবে, এনায়েতনগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২/১টি ওয়ার্ডে কমিটি নিয়ে এখন তোড়াজোড় চললেও বেশির ভাগ ওয়ার্ডে এ নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই। তাই এই ইউনিয়নে সাংগঠনিক ভাবে একেবারেই দূর্বল অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ।