নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
বিএনপির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেও দলটি নিয়ে নানা রকম কলকাঠি নাড়ার কারনে ফতুল্লার শিল্পপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের উপর বেজায় নাখোঁশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান এমনটাই দাবি নির্ভরযোগ্য সুত্রের। তারেক রহমান তার নিজস্ব সূত্রে জানতে পেরেছেন বরাবরই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ করছেন শাহআলম।
এর আগে কাজী মনির আর মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিলো সেই কমিটি পূরোটাই সাজানো হয়েছিলো শাহ আলমের পছন্দের লোক দিয়ে। যার ফলে সেই কমিটিতে ফতুল্লা আর সিদ্ধিরগঞ্জের লোক ছিলো বেশি। এতে এই জেলায় সাংগঠনিক ভাবে বেশ দূর্বল হয়ে পরেছিলো বিএনপি।
পরে ফতুল্লা থানা কমিটি গঠনেও হস্তক্ষেপ করেন তিনি। তার ইচ্ছা মতো পর পর তিন বার ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু শাহ আলম নিজেই আর এই দলে থাকেননি। সরকারের ভয়ে তিনি দলের সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আর এ কারনে আগামী দিনের রাজনীতিতে তার আর বিএনপি করার কোনো সুযোগও নেই বলে মনে করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা।
এছাড়া তিনি যতো টাকাই খরচ করেন না কেনো আগামী নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নও পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। তারেক রহমান আরো জানতে পেরেছেন, শাহ আলম বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়মিত টাকার প্যাকেট পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রন করতেন। রীতিমতো টাকা দিয়ে তিনি কিনে নিয়েছিলেন বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। আর এতে দলের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হয়নি। নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়েছে বিএনপি।
মূলত এই ধরনের অযাচিত কর্মকান্ডের কারনেই এখন তার ব্যাপারে যথেষ্ঠ কঠোর অবস্থান অবলম্বন করেছেন তারেক রহমান। সূত্র জানায়, তারেক রহমান এই শাহআলম সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কেনোনা বিএনপির রাজনীতি করতে হলে সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই করতে হবে। যাদের এ ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে তারা এই দল না করাই ভালো মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত শাহআলম একবার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছিলেন এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতিও হয়েছিলেন। এছাড়া একই সময়ে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি সব কয়টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।