নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে নানা তৎপরতা চলছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক হতে মোট আট জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এদের মাঝে তিনজন সভাপতি প্রার্থী আর পাঁচজন সাধারন সম্পাদক প্রার্থী।
আট প্রার্থীর মাঝে ৬ জন ইতিমধ্যেই ভোটাভোটি চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল এবং সাধারন সম্পাদক শওকত আলীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
তারা এই নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে বক্তাবলী ইউনিয়নে ভোটাভোটি চেয়েছেন। কিন্তু সভাপতি প্রার্থী আবুল হাসেন সরকার এবং সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে তেমন কোথাও দেখা যাচ্ছিলো না এতোদিন। তবে গতকাল এই প্রতিনিধির সাথে মোবাইল ফোনে তাদের যোগাযোগ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন সরকার তেমন কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে তিনি এইটুকু বলেন যে, আমি আমার কর্মীদের নিয়ে ব্যস্ত আছি। সভাপতি প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছি। আমি কোনো পকেট কমিটি চাইনা। নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেই সিদ্ধান্তই মেনে নেবো।
একই বিষয়ে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ছয়জন প্রার্থীর কথা শুনে মনে হচ্ছে চিলে কান নিয়েছে আর আমরা কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে ছুটছি। আমি জানতে চাই তাদেরকে কে বললো যে বক্তাবলীতে কোনো পকেট কমিটি হবে। আমি বিগত চার বছর ধরে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের একজন ভক্ত হিসাবে আছি। তিনি যেভাবে চাইবেন আমি সেভাবেই মেনে নেবো। কারন ওনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। উনি যদি ভোটাভোটি দেন তাহলে আমি তাতেও প্রস্তুত রয়েছি। আমি কোনো পকেট কমিটিতে বিশ্বাসী নই। যেভাবে করুক না কেনো সেভাবেই প্রস্তুত রয়েছি। তাই তারা পকেট কমিটি করার যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা মোটেও সঠিক নয়।