বিগত নির্বাচনে মাঠ ছেড়ে পালিয়েছিলেন...

এবারও মনোনয়ন চাইবেন এই নিধিরাম সরদার

101

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গত নির্বাচনে এক মিনিটও মাঠে দাড়াতে না পারা হেফাজতে ইসলামীর নেতা মনির হোসেন কাশেমী এবারও বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিগত নির্বাচনের মতো এবার আর ভুল করবেনা বিএনপি এমনটাই মনে করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ঢাল তলোয়ার বিহীন এই নিধিরাম সরদারকে মনোনয়ন দেয়া হবেনা বলেই মনে করেন তারা।

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুট করেই তাকে দেয়া হয়েছিলো বিএনপির মনোনয়ন। নির্বাচনের আগে কেউ কল্পনাও করেননি কাশেমী বিএনপির মতো একটি দলের মনোনয়ন বাগিয়ে আনবেন। যদিও তিনি মনোনয়ন এনে এক মিনিটও মাঠে দাড়াতে পারেননি। নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর শোনা গিয়েছিলো।

কিন্তু কেনো বিএনপির মতো এমন একটি জনপ্রিয় দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলো সে প্রশ্ন নিয়ে এখনো পরিস্কার কিছু জানা যায়নি। সবাই ধরেই নিয়েছিলো বিগত নির্বাচনেও শাহআলমই পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন। কিন্তু পরে দেখা গেলো কোথা থেকে কোন কাশেমীকে ধরে এনে ধানের শীষ দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেয়া হলো।

এ ব্যাপারে শাহ আলমের মতামত হলো, ইসলামী ঐক্যজোট তথা হেফাজতে ইসলামীর সাথে ঐক্য ধরে রাখার জন্য নাকি তাকে মনোনয়ন দিতে বাধ্য হয়েছিলো বিএনপি। তাই শাহ আলম অভিমান করে শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন।

কিন্তু কাশেমী যে শামীম ওসমানের মতো এমন একজন জাদরেল নেতাকে মোকাবেলা করতে পারবেন না এটা জেনেও কেনো তাকে বিএনপি মনোনয়ন দেবে এই প্রশ্নের স্বাভাবিক কোনো উত্তর আজও পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে এ ব্যাপারে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিগত নির্বাচনে প্রথমে শাহআলমকেই বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু শাহ আলম বিএনপির মনোনয়ন পেলেও শামীম ওসমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে প্রস্তুত ছিলেন না। তাই তিনি নিজেই বিএনপির মনোনয়ন না নিয়ে এই কাশেমীকে মনোনয়ন দিতে বিএনপির উপর মহলে তদবির করেন। আর কাশেমীও মনোনয়ন চাইছিলেন। তাই বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনেও কাশেমীকেই দিয়ে দেয় মনোনয়ন।

কিন্তু কাশেমী নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে সেই যে পালিয়েছে আর তাকে মাঠে দেখা যায়নি। তবে অনেকে মনে করেন নির্বাচন এলে আবারও হয়তো এই কাশেমীর আবির্ভাব ঘটতে পারে। তিনি আবারও চাইতে পারেন ধানের শীষ। তবে এবার আর বিএনপির নেতাকর্মীরা এই ধরনের হঠকারিতা মেনে নেবেন না বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে কাশেমী কি করেন আর দল হিসাবে বিএনপি কি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।