নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
বঙ্গবন্ধু কণ্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কায়কোবাদ রুবেলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ২ নং রেল গেটস্থ জেলা-মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া শেষে দুস্থ:দের মাঝে খাবারও বিতরণ করা হয় এদিন।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কায়কোবাদ রুবেলসহ জেলা-মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, ৮১’ সালের আজকের এই দিনে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার কান্নার সাথে একাত্মতা ঘোষণার জন্যই আল্লাহর নির্দেশে সেদিন সারা দেশে বৃষ্টি হয়েছিলো। আকাশও সেদিন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, এর কিছুদিন পরে তথা ২৭ মে নারায়ণগঞ্জের কিছু নেতাকে গ্রেফতার করে জিয়া সরকার। তার ঠিক তিন দিন পর অর্থ্যাৎ ৩০ মে তারই পোষা কুকুরদের হাতে নিহত হয়েছিলো জিয়াউর রহমান। তার লাশ কোথায় আছে কেউ জানেনা। চন্দ্রিমা উদ্যানে তার লাশের কথা বলা হলেও তা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। আর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লাশ টুঙ্গিপাড়ায় আছে। সেটি আজ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে এগোচ্ছি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেদিন (৮১’ সালের ১৭ মে) জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু শত বাধা উপেক্ষা করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। তাকে সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি ৩২ নাম্বারের বাইরে নামাজ পড়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। এখন বাংলাদেশের কেউ আর না খেয়ে থাকে না।
এসময় জি এম আরাফাত বলেন, শেখ হাসিনা সরকার প্রধান না হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া হয়ে যেতো। খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক জিয়া দেশকে যেভাবে লুটেপুটে খেতে চেয়েছিলো, তাতে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। ঠিক সেই সময়ে দেশের নেতৃত্বে এসে আজ দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশ জাতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আমাদের প্রিয়নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশে আসতে না পারে সেজন্য সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ঐ খুনি জিয়াউর রহমান। কিন্তু শত বাধা অতিক্রম করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছেন। এরপর তাকে মোট ২২ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। জনগনের ভোটে পরপর চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যে কমিটি হবে সেই কমিটির মাধ্যমে একটি সুসংগঠিত জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ উপহার দিতে চাই। মহানগর ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ যেভাবে দিক-নির্দেশনা দিবে, সেভাবে আমরা পালন করবো। যে কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবে, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্র থেকে আমরা পাবো সেই কর্মসূচী আমরা যাতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এছাড়াও আগামীতে যাতে আমরা একটি সুন্দর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি যাতে উপহার পেতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।