সেরা করদাতা হলেন শাহাদাত হোসেন সাজনু

26

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু। সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এবং কর আপীলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম তার হাতে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সে করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মোট ৪টি ক্যাটাগরীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও মুন্সীগঞ্জ জেলার ২১ সেরা কদতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের কর কমিশনার মিজ শারমিন ফেরদৌসী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এবং কর আপীলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা বেগম বাবলী, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, অতিরিক্ত কর কমিশনার ছগীর আহমেদ প্রমুখ।

শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু ছাড়াও একই ক্যাটাগরীতে সম্মাননা পান আরও ২ জন। এরা হলেন, মোল্লা মোহাম্মদ মজনু ও মিজানুর রহমান মোল্লা।

এছাড়া, না.গঞ্জ জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী ২জন করদাতা হলেন, শহিদুজ্জামান শহীদ ও ফকির চান মীর। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা হলেন, মোশারা মেহজাবিন। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুন পুরুষ করদাতা হলেন আতিক মোর্শেদ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী ২জন করদাতা হলেন মিস রত্না সাহা, মো. গোফরান মিয়া। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৩ জন করদাতা হলেন সোয়াইবুল হোসেন আদেল, সোহেল হোসেন এবং সাইদুর রহমান। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা হলেন রাজিয়া জামান, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুন পুরুষ করদাতা হলেন অপু কুমার সাহা।

মুন্সীগঞ্জ জেলায় দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী ২জন করদাতা হলেন, সুবাস চন্দ্র সাহা ও দেবব্রত দাস। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৩ জন করদাতা হলেন, মাহবুব হোসেন, শাহাদাত ইসলাম সিয়াম, আয়নাল হোসেন স্বপন। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা হলেন, রিটা রহমান। সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুন পুরুষ করদাতা হলেন আল আমিন।

সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা গ্রহনের পর শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু বলেন, প্রতি বছর সময় মতো কর দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আত্মতৃপ্তি ভোগ করি। যখন সার চার্জটা দেই, তখন খুব লাগে, যে এতগুলো টাকা চলে যাচ্ছে। কিন্তু দেয়ার পরেই খুব ভালো লাগে একারণে, আজকে এতো কঠিন সময় চলে এসেছে যে, ট্যাক্স ছাড়া বা টিন সার্টিফিকেট ছাড়া অনেক কাজই করা যায় না।