কুতুবপুরে বিএনপির রাজনীতি...

সেন্টুর শুন্যস্থান পূরন করছেন তিন নেতা

334
কুতুবপুর বিএনপির কান্ডারী তারা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানা এলাকার রাজনীতিতে কুতুবপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। কারন এই ইউনিয়নে এখন প্রায় ছয় লাখ লোকের বসবাস এবং আড়াই লাখের বেশি ভোটার। তাই এই ইউনিয়নে এক সময় কুতুবপুরের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির নেতৃত্ব দিতেন।

কিন্তু সেন্টু বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর অনেকে মনে করেছিলেন কুতুবপুরে বিএনপি হয়তো দূর্বল হয়ে পরবে। কিন্তু না, এখানে বিএনপি এখন মোটেও দূর্বল হয়নি দাবি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

তাদের মতে, সেন্টু চলে গেলেও বিএনপির তিন নেতা শক্ত হাতে হাল ধরেছেন কুতুবপুরের। কুতুবপুর বিএনপিকে আগলে রেখেছেন তারা। এরা হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাজী মো: শহীদ উল্লাহ এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান খোকা।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, কুতুবপুর বিএনপির ঘাটি হিসাবে ছিলো এখনো ঘাটিই আছে। বরং আমরা মনে করি কুতুবপুরে বিএনপির অবস্থান আরো বেশ শক্ত হয়েছে। এখানে বিএনপির জনপ্রিয়তা আরো অনেক বেড়েছে। কেননা বহু বছর ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় সারাদেশের ন্যায় কুতুবপুরের জনগনের মাঝেও তীব্র ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।

এছাড়াও দ্রব্যমূল্য সহ সর্ব ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতাগুলো নিয়ে সাধারন মানুষ এই সরকারের সমালোচনা করছে। সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর যে অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে তাতে শুধু কুতুবপুরই নয় বরং সারা দেশের মানুষই এই সরকারের উপর ক্ষুব্দ। ফলে মানুষ যদি সুযোগ পায় তাহলে এই সরকারকে ভোট দেয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি কুতুবপুরের মানুষ যদি ভোট দেয়ার সুযোগ পান তাহলে এখানে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।