স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি বলেছেন, আমি যদি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হই তাহলে পিছিয়ে পড়া নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নকে উন্নয়নে জেলা শ্রেষ্ট উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলবো। গত কয়েকদিন তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসংযোগ কালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা আকড়ে থেকে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে কোনো উন্নয়ন করেনি। কোথাও পরিকল্পিত কোনো উন্নয়ন করেনি। গড়ে তোলেনি কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যার ফলে এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমি এসব ইউনিয়নের প্রত্যেক এলাকায় গিয়েছি এবং মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমি কোথায় কি সমস্যা আছে সেসব কিছু পর্যবেক্ষন করেছি। তাই আমি যদি মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমধান করবো ইনশাআল্লাহ। আর পাঁচ বছরে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এলাকায় এমন উন্নয়ন করবো যাতে বসবাসের জন্য জেলার শ্রেষ্ট উপজেলা হিসাবে বিবেচিত হয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সর্বত্র জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনিকে নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝেও ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলছে। জেলার পাঁচটি আসনের মাঝে চারটিতে বিএনপি তাদের প্রার্থী ঘোষনা করেছে। বাদ রয়েছে মাত্র একটি। আর সেটি হলো নারায়ণগঞ্জ-৪। বিএনপির কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসাইন কাসেমীর জন্য চাওয়া হয়েছে। তাই আসনটিতে বিএনপি তাদের নিজেদের প্রার্থী ঘোষনা করেনি। তবে আসনটি মনির হোসাইন কাসেমীকে ছেড়ে দিলে তিনি জয়ী হতে পারবেন কিনা সেই বিষয়টি এখন বিএনপির বড় মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। কেনোনা প্রথমত মনির হোসাইন কাসেমী নিজে কোনো জনপ্রিয় প্রার্থী নন। বিগত বছরগুলিতে এই আসনের জনগনের সাথে কখনোই তার ভালো কি মন্দ কোনো সম্পর্কই ছিলো না। তাই মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার তেমন কোনো জনসমর্থনই নেই। তারপরেও আসনটি আপাতত তার জন্য রাখা হয়েছে বলেই জানা গেছে। কিন্তু এই আসনের সাধারন মানুষের মতে আসনটি বিএনপির একটি নিশ্চিৎ আসন। তবে শর্ত হলো মনোনয়ন দিতে হবে বিএনপির কোনো জনপ্রিয় প্রার্থীকে। এখানে বিএনপির ভেতরেই বেশ কয়েক জন ভালো প্রার্থী রয়েছেন। যারা দলীয় প্রতিক পেলেই বিজয় নিশ্চিৎ। এরা হলেন মশিউর রহমান রনি, মাসুকুল ইসলাম রাজীব এবং আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলম। এই তিন প্রার্থীর মাঝে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে এবং ৫ আগষ্টের পর দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন রনি। ফ্যাসিষ্ট জমানায় যখন বিএনপিকে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পর্যন্ত পালন করতে দেয়নি তখনও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সভাপতি হিসাবে রনি মাঠে ছিলেন। এমনকি ভয়ংকর গডফাদার শামীম ওসমান যখন বিএনপির বিরুদ্ধে বলেছে তখন নারায়ণগঞ্জের অন্য নেতারা কিছু বলতে সাহস না পেলেও রনি চুপ করে থাকেননি। তিনি শামীম ওসমানের বক্তব্যের সময়োচিত জবাব দিয়েছেন। আর এই কারনেই শামীম ওসমানের নির্দেশে রনিকে গুম করা হয়েছিলো এবং ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। তাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মানুষ মনে করেন রনির এসব অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিৎ। এছাড়া ৫ আগষ্টের পর সারা নারায়ণগঞ্জে যখন দলটির এক শ্রেনীর নেতাকর্মী চাঁদাবাজীতে মেতে উঠেছিলো তখন রনি জনকল্যানমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি তখন ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রেখেছেন। বিগত বর্ষাকাল জুরে তাকে মানুষের দূর্ভোগ লাগব করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে। ফলে এরই মাঝে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সর্ব স্থরের জনগনের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। ফলে অনেকেই মনে করেন বিএনপি যদি এই নির্বাচনে রনিকে মূল্যায়ন করে তাহলে সহজেই জিতে যাবেন তরুন প্রজন্মের এই নেতা এবং তিনি এলাকার প্রকৃত উন্নয়ন করতে সক্ষম হবেন।




