দ্বিতীয় দিনে পুলিশের অ্যাকশন ছিলো কিছুটা শিথিল ...

সীমিত আকারে চলেছে মিশুক-অটো রিকশা, ফুটপাতেও বসেছিলো হকাররা

199
নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনের সামনের সড়কের দৃশ্য

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজট মুক্ত রাখার জন্য চলছে পুলিশের অ্যাকশন। আর পুলিশের এই অ্যাকশনের দ্বিতীয় দিনে গতকালও নারায়ণগঞ্জ শহর ছিলো অনেকটা যানজট মুক্ত। তবে গতকাল পুলিশী অ্যাকশনে কিছুটা শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে। যার ফলে অত্যন্ত কম হলেও কিছু ইজিবাইক, মিশুক ও অটো রিকশা শহরে চলতে দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার নারায়ণগঞ্জকে যানজটমুক্ত করার ঘোষনা দেয়ার পর মঙ্গলবার থেকে এই শহরে যানজট নেই বললেই চলে। সোমবার পুলিশ কঠোর হস্তে যানজট নিয়ন্ত্রন করেছেন। শহরে এমন কি শহরের আশপাশে গতকালও ভোর থেকে পুলিশ মিশুক, ইজি বাইক বা অটো রিকশা ঢুকতে দেয়নি। ফলে নারায়ণগঞ্জ শহর ছিলো অনেকটাই যানজট মুক্ত। বহুদিন পর নারায়ণগঞ্জবাসী অন্তত যানজট মুক্ত শহর পেলো। নারায়ণগঞ্জবাসীর মতে, পুলিশ ইচ্ছা করলে যে সবই পারে সেটা আবারও প্রমান হলো।

নগরীর ২নং রেল গেইট এলাকার দৃশ্য

এদিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের সব দিকে বিভিন্ন স্পটে দুদিন ধরে সকাল থেকে পুলিশ ছিলো বেশ তৎপর। তাই যাত্রী নিয়ে কোনো অটো বা মিশুক শহরের দিকে ঢুকতে চাইলে তাদেরকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে গতকাল পুলিশের এই তৎপরতায় কিছুটা শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও এসব যানবাহনে চড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

যেমন ফতুল্লা পঞ্চবটি থেকে বিপুল সংখ্যক অটো এবং মিশুক প্রতিদিন চাষাঢ়া মোড় হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। কিন্তু গত দুইদিন তাদেরকে সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। একই রকম চেক দেয়া হয় দেওভোগ, বাবুরাইল, নিতাইগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্পটে। ফলে গতকালও গোটা নারায়ণগঞ্জ শহর ছিলো একেবারে যানজটমুক্ত। তবে কতোদিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদিও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ঘোষনা দিয়েছেন গোটা রমজান মাসকেই তিনি যানজট মুক্ত রাখবেন। কে বেশী ক্ষমতাধর পুলিশ সুপার নাকি এই অবৈধ যানবাহনের চালক ও শেল্টারদাতা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

দ্বিতীয় দিনেও চলছে পুলিশি অ্যাকশন

অপরদিকে একদিন আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখল মুক্ত থাকলেও গতকাল বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতে হকারদের বসতে দেখা গেছে। হকাররা যাতে বসতে না পারে সেই লক্ষ্যে পুুলিশের পিলার ও বাশ দিয়ে ব্যারিকেড দিলেও তা উপেক্ষা করেই হকারদের বসতে দেখা যায়। তাই পুলিশকে ম্যানেজ করে আবারও হকাররা ফুটপাতের দখল নেবে কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

হকারদের দ্বারা ফুটপাত দখল করে রাখাও যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে মনে করে নগরবাসী। কেননা হকারদের কারণে মানুষ ফুটপাত দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মানুষ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ফলে মূল শহরে বেশ যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করে, পুলিশ যদি এই অবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারে তাহলে আবারও যেই লাউ সেই কদু অবস্থার সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ জনগনের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশের প্রসংশনীয় এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে বলেও মনে করে নগরবাসী। তাই আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।