খোকার ১০ বছর কায়সারের ৫ বছর কেমন ছিলো সোনারগাঁয়ের মানুষ?...

সন্ত্রাসের ভয়ে বিএনপির ভোটারদের একাংশ ঝুঁকছে লাঙ্গলের দিকে

168

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ :

বিগত পনেরো বছর সোনারগাঁ আসনের এমপি ছিলেন লিয়াকত হোসেন খোকা এবং কায়সার হাসনাত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কায়সার হাসনাত আর পরের দুই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা। কিন্তু বিগত তিন নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মাঝে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়নি। কারণ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দলীয় পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একে অপরকে ছাড় দিয়েছিলো।

কিন্তু এবার এই আসনটি নিয়ে দলীয় পর্যায়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় দুই প্রার্থীর মাঝে যার যার দলীয় প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে। তাই এবার সোনারগাঁয়ের মানুষ হিসাব মিলাচ্ছে তারা কোন এমপির সময়ে কেমন ছিলেন। তবে নির্বাচনী এলাকাটিতে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও এবারের নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। বিএনপি মনে করে এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তাই এই আসনে বিএনপির ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর।

তবে, এলাকার সাধারন মানুষ জানিয়েছেন, বিএনপির ভোটারদের একটি ছোটো অংশও যদি কেন্দ্রে যায় তাহলে তারা লিয়াকত হোসেন খোকাকেই ভোট দেবেন। কেননা, লিয়াকত হোসেন খোকার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী না থাকায় তারা কায়সারের তুলনায় খোকার কাছে নিজেদেরকে নিরাপদ বলে মনে করেন।

এদিকে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানায়, একজন এমপি হিসাবে কায়সার হাসনাতের তুলনায় অনেক ভালো করেছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। কারন কায়সারের সময়ে এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস ছড়িয়ে পরেছিলো। ২০০৮ সালের পর সন্ত্রাস আর দূর্ণীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো। এমনকি যেকোনো উন্নয়ন কাজ সহ বিভিন্ন কাজে কায়সারের স্ত্রীকে টাকা না দিলে কোনো কাজ হতো না বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ।

এছাড়া, মেঘনায় বালু উত্তোলন নিয়ে ওই সময় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে এবং খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সোনারগাঁবাসী মনে করেন আবারও যদি কায়সার হাসনাত নির্বাচিত হন তাহলে আগের মতোই নতুন করে ছড়িয়ে পড়বে সন্ত্রাস। বিপরীতে লিয়াকত হোসেন খোকা গত দশ বছর কোনো রকম সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেননি। যার ফলে সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ বেশ শান্তিতেই ছিলেন। একইসাথে, গত দশ বছরে এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন খোকা। গ্রামে-গঞ্জে এমন কোনো রাস্তা নেই যা তিনি করেননি। গোটা সোনারগাঁ এলাকায় তিনি রাস্তা ও ব্রিজ কালভার্ট সহ সব ধরনের উন্নয়নে নিয়োজিত ছিলেন। ফলে জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমগুলিতেও খোকা এমপি কোনো রকম সন্ত্রাস বা দূর্ণীতি করেছেন এমন কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয় নাই। তাই সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ বেশ শান্তিতে ছিলেন। যার ফলে বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষ মনে করেন গোটা সোনারগাঁ উপজেলাকে শান্তপূর্ণ রাখার জন্য আবারও লিয়াকত হোসেন খোকার কোনো বিকল্প নেই।

তারা মনে করে, কায়সার হাসনাত আবারও সুযোগ পেলে নতুন করে শুরু হবে বেপরোয়া সন্ত্রাস। যার ফলে এলাকার শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে সাধারন ভোটাররা এবারও লিয়াকত হোসেন খোকাকেই বেঁছে নেবেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার বহু ভোটার। এলাকার সাধারন মানুষের পরিস্কার বক্তব্য হলো তারা শান্তিতে বসবাস করতে চান কোনো রকম সন্ত্রাস চান না। এছাড়া লিয়াকত হোসেন খোকা যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাকেই ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাধারন ভোটারদের অনেকে জানিয়েছেন।