মিশুক ও অটো রিকশায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ

পাগলায় চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে

94
চাঁদাবাজি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ :

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের পাগলা-দেলপাড়া রোড, পাগলা-পঞ্চবটি রোড ও পাগলা-পোস্তগোলা রোডে যানজট নিরসনের ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

সূত্র মতে, গত কয়েক দিন আগে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ রকিব উদ্দিন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর উপস্থিতে যানজট নিরসনের জন্য মিটিং করা হয়, সেখানে বলা হয়েছিলো যানজট নিরসনের নামে কোনো চাঁদাবাজি করা যাবে না।

কিন্তু দেখা যায়, ঐ মিটিংয়ের ঠিক দুই দির পর থেকেই ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করা হয়েছে। চাঁদাবাজরা বলছে তাদেরকে এক চেয়ারম্যান চাঁদা তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তিনটি রোডে মিশুক প্রতি দশ টাকা এবং ইজিবাইক প্রতি ত্রিশ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

এতে প্রতিটি মিশুক বিশ টাকা বা ত্রিশ টাকার ট্রিপ নিলে দশ টাকাই নিয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ চক্র। আর প্রতিটি অটো পঞ্চাশ টাকা থেকে আশি টাকার ট্রিপ নিতে পারে। আর সেখান থেকে ত্রিশ টাকাই কেটে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা। এতে এসব রোডে অটো ও মিশুক চালাতে গিয়ে একেবারে নিস্ব হয়ে পরছে চালকরা।
আর চাঁদাবাজীর মূল হোতা ঐ চেয়ারম্যানের সঙ্গে রয়েছেন অন্তত ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ। ফলে এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর কারনে গোটা এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ধরনের চাঁদাবাজি এই প্রথম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে এই তিনটি রোডে অন্তত পাঁচ হাজার মিশুক ও অটো রিকশা চলাচল করে। এতে প্রতি দিন অন্তত এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। ফলে তাদের এই চাঁদাবাজীকে গরীবের উপর অত্যাচার হিসাবেই দেখছেন ওইসব এলাকার সাধারন মানুষ।