স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যের বর্তমান কমিটির সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহসভাপতি আলহাজ¦ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেছেন আমরা জানতে পারলাম সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম নাকি এক হাজার মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন এবং দলের মনোনীত প্রার্থী জনাব মাসুদুজ্জামান মাসুদকে বাদ দিয়ে তাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো যদি এক হাজার লোকের স্বাক্ষরে মাসুদুজ্জামানের মতো একজন জনপ্রিয় প্রার্থীকে বাদ দেয়া যায় তাহলে আমরা পঞ্চাশ হাজার লোকের স্বাক্ষর নিয়ে মাসুদুজ্জামানের পক্ষে জমা দিতে সক্ষম। দল যদি চায় তিন দিনের মধেই আমরা মাসুদুজ্জামানের পক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জমা দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। গতকাল তিনি দৈনিক শীতলক্ষার এই প্রতিনিধিকে টেলিফোন করে এসব কথা বলেন। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, মাসুদুজ্জামানের প্রতি কালাম সাহেবের কৃতজ্ঞ থানা উচিৎ ছিলো। কারন আমরা দেখেছি অতীতে কালাম সাহেব যতোবার নির্বাচন করেছেন ততোবারই এই মাসুদুজ্জামান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এবং শহরের একটি বড় এলাকার দায়িত্ব নিয়ে কালাম সাহেবের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বিগত স্বৈরাচার সরকারের পনেরো বছর নেপথ্যে থেকে বিএনপির পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যতো মামলা মোকদ্দমা হয়েছে সেই সকল মামলা লড়ার জন্য খরচ যুগিয়েছেন মাসুদুজ্জামান। বহু নেতাকর্মী কারাগারে থাকাকালে তিনি পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। তাই আমাদের দল তার ব্যাপারে ভালো মতো খোঁজ খবর নিয়েই তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু কালাম সাহেব তার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুক তিনি দলের দু:সময়ে দলের জন্য কি করেছেন? কিছুই করেননি। অসুস্থ্যতার বান করে মামলা মোকদ্দমা এড়িয়ে চলেছেন। আর ৫ আগষ্টের পর যখন আবার দেশে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখন নতুন করে তিনি আবার মাঠে নেমেছেন মনোনয়ন শিকার করার জন্য। কিন্তু দল এবার আর তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। বরং দল একজন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী নেতাকে এবার মনোনয়ন দিয়েছে। এতে আমরা সবাই খুশী। এরই মাঝে সারা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এলাকায় মাসুদুজ্জামানের পক্ষ্যে জোয়ার উঠছে। তাই আমরা মনে করি এডভোকেট আবুল কালামের উচিৎ এখনই ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে বড় মন নিয়ে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন করা। তাই আমি আবারও বলছি তিনি যদি মনে করেন মাত্র এক হাজার লোকের স্বাক্ষর দিলেই তিনি মনোনয়ন পেয়ে যাবেন তাহলে মাসুদুজ্জামান জমা দেবে পঞ্চাশ হাজার লোকের স্বাক্ষর। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।




