বক্তাবলীতে চাচার নির্দেশে ভাতিজাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

111

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বক্তাবলী এলাকার মোক্তার হোসেন নামের এক যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মোক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহতের শরীরে ৫০টির বেশী সেলাই লাগানো হয়েছে বলে জানায় আহতের স্বজনরা। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসে সে।

আহত মোক্তার হোসেন জানান, আমার জায়গায় চাচার বাড়ির টয়লেট নির্মাণ করায় তা সরাতে বলায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়দের নির্দেশে গত ২৮ তারিখে টয়লেট সরিয়ে নেয় চাচা। তবে সে আমাকে হুমকি দেয় যে, টয়লেট সরিয়ে নিলাম পরে তোকে দেখাবো। তুই নদী পাড় হয়ে উপারে গেলে তোর পা কেটে রেখে দিবো বলে হুমকি দেয় চাচা। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আমি একটি জিডিও করি।

পরবর্তীতে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে আমার কর্মস্থল ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে বক্তাবলী ঘাট পার হয়ে অটোরিক্সায় করে পঞ্চবটি আমতলায় পৌঁছালে আমার চাচা আবুল হোসেনের শ্যালক আবুল কাশেমের বন্ধুসহ অজ্ঞাত ৭/৮জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এদের প্রত্যেকের কাছেই রামদা-চাপাতি, ছুড়ি ছিলো। সেই চাপাতি ও রামদা দিয়ে আমার দু পায়ে কোপ দেয় এবং ছুরি দিয়ে আমার পেটে আঘাত করে। আমি বাধা দিলে আমার হাতের আঙ্গুলের রগ কেটে দেয়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে থানায় নিয়ে গেলে, আমার অবস্থা গুরুতর দেখে থানার লোকজন প্রথমে আমাকে চিকিৎসা নিতে বলে। তাদের পরামর্শে আমাকে প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

তিনি আরও বলেন, মূলত আমার উপর এ হামলার পিছনে আমার চাচা জহিরুল হক, আবুল হোসেন, কামাল হোসেনের হাত রয়েছে। তাদের নির্দেশে চাচা আবুল হোসেনের শ্যালক আবুল কাশেমের বন্ধুসহ অজ্ঞাত ৭/৮জন আমাকে কুপিয়ে আমার পা কেটে আলাদা করার চেষ্টা করেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।