আহসান কবির খান :
আদালতের পবিত্র প্রাঙ্গনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের মুহুরি একজন বিচার প্রার্থীকে এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে পিটিয়ে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে তাতে তৃতীয় পক্ষের কোনো ষড়যন্ত্র আছে বলে এই শহরের কোনো সচেতন ব্যাক্তি মনে করে না। যদিও সাখাওয়াত হোসেন খান দাবি করছেন কোনো একজন এমপি প্রার্থী নাকি ষড়যন্ত্র করছে। এটা তারই ষড়যন্ত্রের অংশ। আবার সাখাওয়াৎ নিজেই বলছেন ওই লোক নাকি সাখাওয়াতের মুহুরিকে আগে ঘুষি মেরেছে। কিন্তু সাখাওয়াতের মুহুরি হিরন যে লোকটিকে নির্মমভাবে পিটাচ্ছে সেটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। ভিডিওটি সারা দেশে ভাইরাল হয়েছে। আর সাখাওয়াতের কথা যদি সত্যও হয় তাহলে আইন কি বলে? যদি ওই লোক সত্যি সত্যি ঘুসি মেরে থাকে তাহলে আইন কি বলে? তাকে এভাবে পাল্টা পিটাতে হবে? এটা নারায়ণগঞ্জবাসী সকলেরই জানা যে বর্তমানে আদালত প্রাঙ্গনে সাখাওয়াত কতোটা প্রভাবশালী। মুহুরি হিরনকে যদি ঘুষি মেরেও থাকে তাহলেও কি হিরন এভাবে প্রকাশ্যে সকলের সামনে পিটাতে পারে? না পিটিয়ে পুলিশ ডেকে ওই ব্যাক্তিকে আইনের হাতে সোপর্ধ করা যেতো। আসলে বাস্তবতা হলো বিগত ফ্যাসিষ্ট আমলে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনে যেই ধরনের জোরজবরদস্তি চালানো হতো এখনো তেমনটাই চলছে। এখন আওয়ামী লীগের জায়গায় এসেছে বিএনপি। এডভোকেট সাখাওয়াতের মুহুরি হিরন যা করেছে তাতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কোনো সুযোগ নেই। এতে সাখাওয়াত হোসেন খানের রাজনৈতিক ইমেজ অনেরকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তার উচিৎ নিজের মুহুরিকে আইনের হাতে সোপর্ধ করা। অণ্যের উপর দোষ চাপিয়ে কোনো লাভ নেই। তবে এটাও সত্যযে এই ঘটনায় সাখাওয়াৎ নিজে জরিত নন। তিনি উপস্থিত থেকে ওই ব্যাক্তিকে মারার নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোনো প্রমান নেই। তাই তাকে নিজের ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে হলে নিজের মুহুরির বিরুদ্ধেই ব্যাবস্থা নিতে হবে। কেনোনা সাখাওয়াৎ বিগত সতেরো বছর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন আইনজীবী। তাই এখন তার মুহুরি যেভাবে বা তার লোকজন যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তাতে তিনি সতর্ক না হয়ে উদোর পিন্ডি বুদুর ঘারে চাঁপাতে চাইলে কোনো লাভ হবে বলে কেউ মনে করে না। ফলে এ বিষয়ে তিনি কি ব্যাবস্থা নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।




