নির্বাচিত হলে মাসুদুজ্জামানের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ

194

স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। এই আসনে কিলন ইমেজের ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মনোনয়ন পাওয়ায় তার জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে এবং তার কাছে নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ শহরবাসী তার কাছে তিনটি প্রত্যাশা করছেন যা কিনা তিনি নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পূরন করতে পারবেন। ১) যানজটমুক্ত শহর গড়া, ২) ফুটপাত অবৈধ হকার মুক্ত করা, ৩) আসনটির সর্বত্র সন্ত্রাস চাঁদাবাজী বন্ধ করা। মোটামোটি এই তিনটি কাজ তিনি সফল ভাবে করতে পারলে এলাকার অন্নান্য উন্নয়ন তার জন্য সহজ হয়ে যাবে বলে মনে এরন এই আসনের সাধারন ভোটাররা। তাই নির্বাচিত হলে প্রথমেই তাকে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ শহরের সর্ব স্থরের সাধারন মানুষ।
এদিকে মাসুদুজ্জামানকে নিয়ে আসনটির সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে ইতিবাঁচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক ও শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ সহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষের মাঝে তাৎক্ষনিক খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যায়। কারন নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন এইটি। এই শহর তথা এই আসন এলাকাটি বাংলাদেশের অন্যতম বানিজ্য কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। তাই এই শহরের মানুষ চায় একজন জনদরদী কিন্তু শক্ত ধাচের জনপ্রতিনিধি। তাই তিনি বিএনপি মনোনয়ন লাভের কারনে এই আসনের সর্ব স্থরের সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক ইতিবাঁচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের একজন অন্যতম ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ নেতা এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহরের এখন যে পাহাড়সম সমস্যা বিরাজ করছে এই সকল সমস্যা সমাধানে একজন শক্ত মানষিকতার সংসদ সদস্য দারকার ছিলো। তাই আমরা ব্যবসায়ী সমাজ আরো আগে থেকেই চেয়ে এসেছি মাসুদ যাতে বিএনপির মনোনয়ন পায়। কারন মাসুদ মনেনায়ন পেলে একদিকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে এবং অপরদিকে তিনি নির্বাচিত হলে একজন এমপি হিসাবে নারায়ণগঞ্জের প্রকৃত উন্নয়ন হবে। এবার সকলে মিলে তাকে ভোট দিয়ে বিজযী করাতে হবে।
জানতে চাইলে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহাগ। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামান বিএনপির মনোনয়ন লাভ করায় আসনটিতে বিএনপির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেলো। তবে অতীতে আমরা বরাবরই দেখেছি এই আসনে বিএনপির প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে। কখনো বিএনপির প্রার্থী জিতেছে আবার কখনো জিতেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। কিন্তু এবার সম্ভবত আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকছে না। তাই লড়াই হবে জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো দলের প্রার্থীর সাথে। তাই আসনটিতে বিএনপির যে পরিমান ভোট আছে তাতে একজন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় তার জিতে যাবার সম্ভাবনা বেশি। তবে আগামী দিনগুলিতে মাসুদুজ্জামান সাহেব ভোটারদের কতোটুকু আকৃষ্ট করতে পারেন তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। কেনোনা নানা রকম ভয়ানক সব সমস্যায় নারায়ণগঞ্জ শহর ধুকছে। নির্বাচিত হলে যানজট নিরসনে তিনি কি করবেন? ফুটপাতগুলি হকারমুক্ত করে জনগনের চলাচল নির্ভিগ্ন করবেন কিনা? সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত শহর নির্মানে তার ভূমিকা কি হবে? এসব বিষয়ে তাকে বিশ^াসযোগ্য জোরালো প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। কারন মানুষ এবার প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে ভোাট দেবে। মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইবে না। তবে প্রাথমিক ভাবে এইটুকু বলতে পারি এবার বিএনপি এই আসনে সঠিক প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়েছে।
অপরদিকে গতকাল বিকালে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন লাভের খবর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আসনটির সর্বত্র সাজ সাজ রব পরে যায়। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে বিএনপি একজন সঠিক লোককে মনোনয়ন দিয়েছে বলে সর্বত্র মানুষকে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে দেখা যায়। ##