নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কান্ডারী হতে পারে জাকির খান !

375
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কান্ডারী হতে পারে জাকির খান !

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা জাকির খান হতে পারেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কান্ডারী এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল ও তার কর্মী-সমর্থকরা। কেননা সরকার পতনের লক্ষ্যে বিএনপির যে আন্দোলন তাতে রাজধানীর সবচেয়ে নিকটবর্তী জেলায় গুরুত্বপূণ ভুমিকা রাখতে জাকির খানের মতো নেতাই প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে।

জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বিদেশী পিস্তলসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক এ ছাত্রনেতা। তবে এখনোও টক অব দ্যা টাউন জাকির খান। বিএনপি-আওয়ামীলীগসহ জেলার সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জাকির খান। এমনকি, পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবটুকু জুড়েই শুধু জাকির খান আর জাকির খান।

জাকির খান সমর্থকদের দাবি, শুধু জেলায়ই নয় বরং জেলার বাইরে উভয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুখেও রয়েছে জাকির খানের নাম। কেননা দেশে থাকাকালীণ সময়ে তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপির সিনিয়র সকল নেতৃবৃন্দের কাছেই জাকির খান ছিলো প্রিয়। এ কারণেই এবারও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশেই গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি এমন দাবিও করেন তার সমর্থরা।

এদিকে, অনেকটা বেহাল দশায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এমন দাবী খোদ বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাদের মতে, বয়সের ভারে এবং শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণেই অনেকটাই ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে মহানগর বিএনপি সভাপতি এড. আবুল কালাম। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বহিস্কার করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে।

ফলে অলিখিতভাবে দায়িত্ব এসে পড়েছে সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুর উপর। যদিও তৃতীয় সারির নেতা হিসাবে পরিচিত টিপু তথা পাকনা টিপু এখানেও পাকনামি করার চেষ্টা করে নিয়মিত। তবে, জাতের নেতা তথা রাজপথের প্রভাবশালী কোনো নেতা নেই বর্তমান মহানগর বিএনপিতে এমনটাই দাবী তৃণমূলের।

আর তাই, রাজপথে লড়াকু ও সাহসী ভুমিকা রাখা নেতার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর জাকির খান যে বরাবরই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সাহসের বাতিঘর একথা জানে সকলেই। দীর্ঘ ১৭ বছর রাজনীতির বাইরে থাকলেও এসময়ে তার কর্মী-সমর্থকরা মাঠ ছাড়েননি একদিনের জন্যেও।

ফলে জাকির খানের মতো সাহসী একজন নেতার হাতে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব তুলে দিলে তা হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। কেননা জাকির খান যে এখনো কতটা জনপ্রিয় এবং তার যে কতো বড় কর্মী বাহিনী রয়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন তারা।

অপরদিকে, জাকির খানকে নিয়ে কতটা টেনশনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ তার চিত্র দেখা গেছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের দিন। এদিন জাকির খানকে নিয়ে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শামীম ওসমান এমপি, মৃণাল কান্তি এমপি, সিটি মেয়র আইভী উপস্থিত থাকা এ সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তিনি।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাদল বলেন, আজকের ঘটনা জানেন? উনাদের নেতা, ছাত্রদলের সভাপতি বা কেউ একজন যাকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে পিস্তল সহ। উনারা বিএনপির কর্মী। ভাইয়েরা আমার আমরা শান্তি চাই, আর উনারা অশান্তি চায়।

এছাড়া, জাকির খানের গ্রেফতারের বিষয়েও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দাবি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শলা-পরামর্শেই প্রকাশ্যে এসেছেন তথা গ্রেফতার হয়েছেন জাকির খান।
এসব বিষয়ই প্রমাণ করে জাকির খান কতোটা জনপ্রিয় ও মহানগর বিএনপির দায়িত্ব নিতে কতোটা সক্ষম দাবী তার কর্মী-সমর্থকদের।