স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপিকে জিততে হলে অবশ্যই আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলম অথবা জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনিকে মনোনয়ন দিতে হবে। তারা যদি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মাঠে নামেন তাহলে পাল্টে যাবে চিত্র। এই দুই নেতার যেকোনো একজনকে মনেনায়ন দিলে আসনটিতে নিশ্চিৎ জয় লাভ করবে বিএনপি। কারন এই দুইজনই ফতুল্লার ¯’ানীয় বাসিন্দা এবং ভোটার। তারা জন্ম সূত্রেই ফতুল্লার বাসিন্দা। এই দুইজন ছাড়াও আরো তিনজন বড় নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন। এরা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। কিš‘ তারা তিনজনের কেউই এই আসন এলাকার ভোটার নন। তাই বিএনপি যদি জনপ্রিয় এবং ¯’ানীয় প্রার্থী দিতে চায় তাহলে শাহআলম অথবা রনিকে বেঁছে নিতে হবে বলে মনে করেন ¯’ানীয় ভোটাররা। তাহলে আর কোনো শক্তিই এই আসনে বিএনপিকে হারাতে পাবে না।
অপরদিকে এবার যে মনির হোসাইন কাসেমী বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চান তাকে মানুষ ভোট দেবে না বলেই জোরালো মতামত পাওয়া যা”েছ। এরই মাঝে বিষয়টি পরিস্কার। কারন কারন বিগত দিনের রাজনীতিতে ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে কখনোই তার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। এছাড়া তিনি ধানের শীষ প্রতিকও পা”েছন না। তিনি নির্বাচন করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের খেজুর গাছ প্রতিক নিয়ে। তাই এই দুই কারনে বিএনপির সমর্থকরা তাকে ভোট দেবে না। এমনকি তিনি যদি ধানের শীষ প্রতিকও পান তারপরেও বিএনপির ভোটাররা তাকে ভোট দেবে না। সেই ক্ষেত্রে তারা ভালো কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে ভোট দেবেন অন্যথায় জামায়াতে ইসলামীর আবদুল জব্বারকে ভোট দেবেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এই এমন চিত্রই পাওয়া যা”েছ। তাই বিএনপি শেষ পর্যন্ত কি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ভোটাররা বিএনপির স্বিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর এই দুইজনকে ভোটাররা পছন্দ করার কারন হলো শাহআলম একবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি জিতেও ছিলেন কিš‘ তাকে ফেইল দেখানো হয়েছে। আর মশিউর রহমান রনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নিজের জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া গত জুলাই আন্দোলনে তিনি বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন এবং ৫ আগষ্টের পর থেকে তিনি ফতুল্লার জনগনের সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য ঝাপিয়ে পরেছেন। তিনি নিজে মাঠে নেমে খাল পরিস্কার করে সাধ্যমতো এলাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাই ভোটাররা মনে করেন তরুন এই নেতা এলাকার এমপি নির্বাচিত হলে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া ফতুল্লায় কাংখিত উন্নয়ন হবে। তাই দল যদি শাহআলম অথবা রনিকে মনোনয়ন দিয়ে মাঠে নামায় তাহলে পাল্টে যাবে চিত্র। বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তারা। অন্যথায় মনি হোসাইন কাসেমীকে সমর্থন দিয়ে নিজ দলের প্রার্থী না দিলে এই আসনে জামায়াত প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হবে। ফলে বিএনপি এখন কি করে সেটাই দেখার বিষয়।
