যানজটে স্থবির গোটা শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ...

না.গঞ্জে হাজার হাজার অটো রিকশার দৌড়াত্মে জনজীবন অতীষ্ঠ

136
না.গঞ্জে হাজার হাজার অটো রিকশার দৌড়াত্মে জনজীবন অতীষ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

কোনো মতেই নারায়ণগঞ্জ শহরে এভাবে হাজার হাজার অটো রিকশার এই অবাধ বিচরনকে মেনে নেয়া যায় না। জানা গেছে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে চলছে এসব অটো রিকশা। আর পুলিশ সাংবাদিক এবং হিজরাদের নামের অটো রিকশা চলাচল করছে। যার ফলে কোনো শৃংখলা না থাকায় গোটা নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় ভয়ংকর রূপ লাভ করেছে যানজট। তাই নারায়ণগঞ্জের সকল মহল্লায় এইসব অটো রিকশা অপরিকল্পিত পন্থায় চলাচল করার কারনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

এদিকে, এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ শহর এবং আশপাশের এলাকায় অটো রিকশা গুলির কোনো নাম্বার প্লেট বা নিয়ম শৃংখলা না থাকায় এরই মাঝে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহর। যানজটে নাকাল হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ। একটি শহর এভাবে চলতে পারে না। হাজার হাজার অটো রিকশার দৌড়াত্মে আমরা একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছি। আমার বাসা থেকে বেরিয়ে জেলা পরিষদে আসতে যেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে লেগে যায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। কোথাও কোনো শৃংখলা নেই। হাজার হাজার অটো রিকশা বিনা বাধায় গোটা শহর এবং পাশর্^বর্তী এলাকাগুলির রাস্তা দখল করে রাখে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদ্বয় এবং পুলিশ সুপার সাহেব দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তাই এসব অটো রিকশা নিয়ন্ত্রনে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় অযাচিত যানজটের কারনে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের মাঝে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে যেকোনো সময় এই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটবে বলে আমি মনে করি।

জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল আরো বলেন, এটা সত্য যে এখন আর চাইলেই সব অটো রিকশা চলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। এসব অটো রিকশার সাথে পরিবারগুলোর রুটি রুজি জড়িত। সাধারন মানুষের মাঝে যাদের প্রাইভেট কার নেই তাদের চলাচলের জন্য এগুলো দরকার। তার মানে এই নয় যে বিশৃংখল ভাবে যে যার মতো যতো খুশী অটো রিকশা রাস্তায় নামাবে। এটার একটি শৃংখলা থাকা খুবই জরুরী। তাই আমি মনে করি, এখনই এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারগুলো তথা সিটি করপোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলো নীতিমালা প্রনয়ন করা খুবই জরুরী। শহরে বা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কতোগুলো অটো রিকশা চলবে তার একটি সংখ্যা নির্ধারন করা থাকবে এবং এসব অটো রিকশাকে নাম্বার প্লেট দিয়ে সেগুলো নির্ধারিত ইউনিফর্মের আওতায় নিতে হবে। এক কথায় পূরো বিষয়টি একটি নিয়ন্ত্রনের ভেতর নিতে হবে। অন্যথায় গোটা নারায়ণগঞ্জ শহর যেভাবে স্থবির হয়ে পরেছে তাতে সামনের দিনগুলিতে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি জানতে পেরেছে কিছু স্বার্থান্বেসী মহল এসব অটো রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহার নিয়ে এক ধরনের চাবি এবং কার্ড দিয়ে থাকে। আর এসব চাবি আর কার্ড দেখলে ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে কিছু বলে না। যার ফলে অবাধে শহর এবং আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক অটো রিকশা। যা কিনা জনজীবনকে স্থবির করে ফেলেছে। তাই আমি জোরালো দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই এসব অটো রিকশা নিয়ন্ত্রনে নেয়ার জন্য যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।