মাথা থেকে পদের বোঝা নামাতে চান কাদির-বাদল...

না.গঞ্জে অস্তিত্ব সংকটে জেলা যুবলীগ

213
মাথা থেকে পদের বোঝা নামাতে চান কাদির-বাদল

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলায় আস্তিত্ব সংকটে পতিত হয়েছে জেলা যুবলীগ। এই সংগঠনটির সভাপতি আবদুল কাদির এবং সাধারন সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল দুইজনের বয়সই এখন ষাটের উপরে। তাই এরা এখন প্রায় বৃদ্ধ।

এদের মাঝে আবদুল কাদির একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তার বয়স পয়ষট্টি বছর। এছাড়া দুই জনেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। আবদুল কাদির জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শহীদ বাদল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে রয়েছেন।

শুধু তাই নয়, জেলা যুবলীগের এই দুই নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে তারা এখন নানা রকম বয়সজনিত রোগেও আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। তাই এই দুই নেতা এখনো নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক থাকায় খোদ আওয়ামী লীগের ভেতরে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, যুবলীগকে এই জেলায় এখন একেবারে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখন আর কোথাও জেলা যুবলীগের কোনো আস্তিত্ব নেই। এছাড়া বর্তমান কমিটির বয়সও প্রায় বিশ বছর অতিক্রম হতে চলেছে। তাই জেলা যুবলীগের অন্য পদগুলিতে কারা রয়েছে এটাও কেউ জানেন না।

ফলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করেন, এতো দীর্ঘ সময় ধরে এই জেলায় আর কোনো সংগঠনের এক কমিটি স্থায়ী হয় নাই। এতে সাংগঠনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূল দল তথা আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক দুই জনই মূল দল আওয়ামী লীগের দুটি পদে আসিন হওয়ায় যুবলীগ নিয়ে তাদের মাঝেও কোনো মাথাব্যাথা নেই।

এ দুই নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই পড়ন্ত বেলায় এসেও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে থাকায় তারা নিজেরাই এখন বিব্রত। যে দুটি পদের জন্য এক সময় তারা লড়াই করেছিলেন এই পদই এখন তাদের কাছে বোঝা মনে হচ্ছে। তারা নিজেরা এই বোঝা নামাতে চান, কিন্তু কেন্দ্র তাদেরকে নামাতে দিচ্ছেন না বলেও জানায় সূত্র।

এদিকে মাঠ পর্যায়ে যুবলীগের নেতৃত্ব নিতে পারেন এমন বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন পদ বঞ্চিত। পদ বঞ্চিত এই নেতাদের অনেকে ক্ষোভের সুরে বলেন, জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে পারেন এমন যোগ্য নেতা থাকার পরেও কেনো এই জেলায় সরকারী দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনটিকে পূণর্গঠন করা হচ্ছে না এটা রহস্যজনক। বিরোধের কথা বলা হচ্ছে।

কিন্তু আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব নিরসন করে উভয় পক্ষের নেতাদের দিয়েই এই কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলেও মনে করেন তারা। কেন্দ্র দুই পক্ষের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে উভয় পক্ষের নেতাদের রেখে গঠন করতে পারে জেলা যুবলীগ। তবে অজানা কারণে, বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এই কমিটি। তাই আর কবে গঠন হবে এই কমিটি সেটাও বলতে পারছেন না কেউ। তাই দিনে দিনে সাংগঠনিক ভাবে আরো দূর্বল হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ, আর অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ।