না.গঞ্জ-৩ আসনে জমে উঠেছে বিএনপির গিয়াসের সাথে জামায়াতের ইকবালের লড়াই

111

স্টাফ রিপোর্টোর :
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মাঝে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির তিনজন এবং জামায়াতের একজন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। এরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং জামায়াতে ইসলামীর ড. ইকবাল হোসাইন ভুইয়া। এই প্রার্থীরা যার যার অবস্থান থেকে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এদের মাঝে সবার আগে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং এরই মাঝে তিনি মাঠ অনেকটা গুছিয়ে ফেলেছেন বলেই এই আসনের দুইটি থানার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এদিকে সম্প্রতি সোনারগাঁ থানা এলাকার সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে সংযুক্ত করে আসনটি পূনর্বিন্যাস করা হয়েছে। ফলে এই আসনে ভোটার সংখ্যা এবার প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যে প্রচার চলছে তা পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে প্রচার প্রচারনায় এবং জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে গেছেন মুহুম্মদ গিয়াস উদ্দিন। কারন তিনি সবার আগে মাঠে নেমে দুটি থানা এলাকায়ই সর্বাত্বক প্রচার চালিয়েছেন। যার ফলে ভোটারদের মাঝে তিনি একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন বলে সাধারন ভোটাররা জানিয়েছেন।
অপরদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মাঠে নেমেছেন অনেকটাই দেরী করে। তিনি হয়তো এতোদিন কিছুটা দ্বিধাদ্ব›েদ্ধ ভুগেছেন। তাই এতোদিন তিনি সোনারগাঁ থানা এলাকায় গিয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি নিজের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। তার অনুসারীরা জানিয়েছেন মামুন ও গিয়াস উদ্দিন আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ভোটার ছিলেন। তাই মামুন চার আসনে মনোনয়ন চাইবেন এবং পাবেন বলে ব্যাপক প্রচার ছিলো। কিন্তু আসন ভাগ হওয়ার পর পাল্টে গেছে চিত্র। ফলে অনেকটাই স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকেন মামুন। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন আঞ্চলিকতা একটি বড় ফ্যাক্টর এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তিনি মনোনয়ন পেলেও এই আসনের ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলা মোটেও সহজ হবে না। এছাড়া ফতুল্লায় আজ পর্যন্ত তিনি কোনো নির্বাচনী প্রচারও চালাননি। যার ফলে মামুন মাহমুদ পরে তার স্বিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চাওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এতোদিনে প্রচারপ্রচারনায় অনেকটাই পিছিয়ে পরেছেন তিনি।
অপরদিকে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সকল কর্মকান্ড সোনারগাঁ থানা এলাকায় স্বীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। তিনি আজও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে কোনো প্রচার চালাননি। তাছাড়া তিনি একজন ত্যাগী নেতা হওয়া সত্বেও একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে যোগ্যতার মাপকাঠিতে গিয়াস উদ্দিন এবং মামুন মাহমুদের তুলনায় অনেকটায়ই পিছিয়ে রয়েছেন মান্নান।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ড. ইকবাল হোসাইন ভুইয়াকে একজন শক্ত প্রার্থী হিসাবেই বিবেচনা করছেন আসনটির রাজনৈতি সচেতন মহল। তাই আসনে বিএনপি যদি জনপ্রিয় প্রার্থী দিতে ভুল করে তাহলে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসাবে ইকবাল হোসাইন বুয়া জিতে যেতে পারেন বলে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। এছাড়া এই সময়ে এসে সারা দেশেই জামায়াতে ইসলামীর একটি শক্ত অবস্থান তৈরী হয়েছে। ফলে এই আসনে বিএনপি যদি এই আসনে একজন শক্ত প্রার্থী দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে ব্যার্থ হয় তাহলে আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী ড. ইকবাল জিতে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ##