জোরালো আন্দোলনের দাবি বিএনপির নেতাকর্মীদের...

দ্রব্যমূল্যই এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু

126
জোরালো আন্দোলনের দাবি বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্রব্যমূল্যই এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন, সরকার দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট আর বিরোধী দলগুলিকে দমন করার কাজে ব্যাস্ত থাকার কারনেই সারা দেশে এখন দূর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে। সারা দেশের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে হাহাকার। খাদ্যপণ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম আরো আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলেও মনে করেন তারা। তাদের মতে, যা বর্তমান সময়ে এসে চরম আকার ধারন করেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি।

গতকাল এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লা এ জানান, রাতের ভোটের এই সরকার এবার রাস্ট্র ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের নামে লুটপাটে ব্যস্ত রয়েছে। খাদ্যের জন্য দেশে হাহাকার বিরাজ করছে। এক কেজি চাল কিনতে মানুষকে ৬০/৬৫ টাকা গুনতে হচ্ছে, এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২০০/২২০ টাকা দিয়ে যা কিনা বিএনপির আমলে ছিলো যথাক্রমে ২০ টাকা এবং ৪০ টাকা। তারপরও বাজারে তেল নিয়ে বাজারে চলছে তেলেসমাতি। বিএনপির শাসনামলে মাত্র দুইশ টাকায় পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যেতো।

তিনি আরও বলেন, এভাবে প্রতিটি পন্যের মূল্য লাগামহীন ভাবে বেড়েছে। যার ফলে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। আর এসব বিষয়ে সরকারেরও কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা দেশের মানুষের কোনো তোয়াক্কা করেন না। কারন তাদেরতো আর জনগনের ভোটের কোনো দরকার পড়ে না। তাই বিএনপির মতো একটি বড় দল চুপ করে বসে থাকতে পারে না। দ্রব্য মূল্য কমানোর দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। আগামী দিনে এই ইস্যুটিই হবে বড় রাজনৈতিক ইস্যু। এই ইস্যুতে আন্দোলন আরো জোরদার হবে বলে মনে করেন তিনি।

একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, টিসিবির ট্রাকের পেছনে সামান্য কম দামে কিছু খাদ্য পণ্য কেনার আমাদের মা বোনদের দৌড়ের দৃশ্যটি নিশ্চয়ই সোস্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন। এ সময়ে এসে এর চেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য আর কিইবা হতে পারে। মানুষ কতোটা অসহায় হয়ে পরলে ক্ষুধার জ¦ালায় এভাবে দু মুটো চাল ডাল কিনার জন্য ট্রাকের পেছনে দৌড়ায়? এই দৃশ্যটিই কি পরিস্কার বলে দেয় না দেশে এখন কি অবস্থা বিরাজ করছে?

তিনি আরও বলেন, বর্তমান এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দূর্ণীতি লুটপাটের কারনে দেশের জনগনের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। কিছু লোক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। আর বিপরিতে দেশের সর্বস্তরের সাধারন মানুষ খাদ্যের অভাবে হাহাকার করছে। তাই আমরা মনে করি, দেশকে এই লুটেরাদের হাত থেকে বাঁচাতে কঠোর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই ফ্যাসিস্ট ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি এখন সেই পথেই হাটছে বলে আমরা মনে করি। আগামী দিনে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করাই হতে পারে দেশের মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ।