দুটি পদ নিয়ে সমঝোতা করে এগুচ্ছেন সাখাওয়াৎ ও বাবুল

143

ফার্স্ট  নিউজ রিপোর্ট :
গতকাল নিজের সমর্থক নেতাকর্মীদের চাপের মুখে আবারও নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার এমন নাটকীয় ঘটনা ঘটানোর পর দল তাকে প্রার্থী হিসাবে রাখবে কিনা?। কেনোনা বাংলাদেশের কঠিন ও নোংরা রাজনীতির মতো পিচ্ছিল মাঠে নেমে হোচট খেয়ে একবার মাঠ ছেড়ে দেয়ার পর আবার মাঠে নেমে তিনি কতোটা খেলতে পারবেন সেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের মাঝে। কেনোনা ষড়যন্ত্রকারীরাতো আর চুপ করে বসে থাকবে না। যদিও এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা ছিলো তার জন্য খুবই সহজ। কিন্তু সাহসিকতার সহিত তিনি সেটা করেননি। তিনি বিরক্ত হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তাই বিএনপির কেন্দ্র এখন বিষয়টি কিভাবে নেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে মাসুদুজ্জামানের বিরোধী হিসাবে পরিচিত একজন নেতা এবং একজন ব্যবসায়ীর মাঝে একটি সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল। এদের মাঝে এডভোকেট সাখাওয়াত সংসদ নির্বাচন করবেন এবং আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল সিটি মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র। তারা এডভোকেট আবুল কালামকে পাত্তা দিতে রাজী নন, কারন কালাম গত পনেরো বছর মাঠে ছিলেন না। লাঠিতে ভর দিয়ে হেটেছেন। অসুস্থ্যতার ভান করেছেন।
এদিকে মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী মেনে নিয়েছিলেন এবং এই আসনের ভোটাররাও তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি টিকতে পারলেন না। দলীয় বিশৃংখলার সামাল দিতে না পারা এবং নানা রকম ভয়ভীতির কারনে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন মাসুদুজ্জামান। যদিও নতুন করে নেতাকর্মীদের চাপে পড়ে ফিরে এসছেন তিনি। তাই আসনটিতে এবার নতুন করে কাকে বিএনপির মনোনয়ন দেয় সেদিকে রয়েছে সকলের নজর। দলটির অনেকের মতে দল যদি বিগত পনেরো বছরের ত্যাগ এবং জুলুম নির্যাতনের কথা মাথায় রেখে মনেনায়ন দেয় তাহলে এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকেই দেয়া উচিৎ মনোনয়ন। কারন শত জুলুম নির্যাতনের পরেও তিনি কখনো মাঠ ছাড়েননি। এছাড়া টানা সতেরো বছর সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী মামলা মোকদ্দমার শিকার হয়েছেন আইনী সহায়তা নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছিলেন এডভোকেট সাখাওয়াৎ। তাই এবারের এই পরবর্তী পরিস্থিতিতে দল যদি ত্যাগী কাউকে মূল্যায়ন করতে চায় তাহলে সাখাওয়াৎকেই মূল্যায়ন করা উচিৎ বলে মনে করেন বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকে। এখন দল কি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে দল যদি মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বহাল রাখে তাহলে সাখাওয়াতেরও উচিৎ দলের স্বিদ্ধান্ত মেনে তাকে জয়ী করানোর জন্য ঝাপিয়ে পড়া। ##