# সারা জেলায় বিএনপির দূর্বল অবস্থা # তিন ভুলের খেসারত দিচ্ছেন তৈমুর ও তার অনুসারীরা...

তৈমুরের পর পুরোনো নেতাদেরও মাইনাস

195

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ, রফিকুল ইসলাম জীবন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে মাইনাস করার সঙ্গে সঙ্গে গোটা জেলায় দলের পুরোনো নেতাদের প্রায় অর্ধেককেই মাইনাস করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। তাদের দাবি, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ থানায় থানায় যে সকল আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন এসব কমিটিতে রাখা হয়নি বিএনপির দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত নেতাদেরকে। এতে গোটা জেলায় একেবারে দূর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি।

তাই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার অংশগ্রহন করায় তার নিজের এবং দলের কারোই কোনো লাভ হয়নি এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তিনি নিজে এবং দলগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিএনপি।

কারন তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিস্কার করার সুযোগে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ অতি দ্রুত তার পছন্দের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন কমিটিগুলো গঠন করে ফেলেছেন। এতে আহবায়ক কমিটিগুলোতে যারা স্থান পেয়েছেন তাদের মাঝে অধিকাংশই রাজনৈতিক ভাবে অদক্ষ দাবী বিএনপির প্রবীন রাজনীতবীদদের।

এদিকে বিভিন্ন আহবায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতারা জানিয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার দলে থাকলে তাদেরকে মাইনাস করা মোটেও সহজ হতো না। তৈমুর সবাইকে রেখেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে দল থেকে বহিস্কার করার সাথে সাথে মামুন মাহমুদ এবং তার অনুগত কয়েকজন তারাহুড়ো করে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে কমিটি করে ফেলেন।

এসব ত্যাগী নেতারা মনে করে, এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনটি বড় ভুল করেছেন। ১) বিএনপি বার বার বলছে এই সরকারের আমলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তিনি এটা বুঝলেন না। তাই তিনি ভোট যতোই পেতেন তাকে জয়ী হতে দেয়া হতো না। তাই ভোটাররা ভোট দিলেও তার পরাজয় ছিলো নিশ্চিত। ২) হাজার হলেও তিনি দলের দুটি ভাইটাল পদে ছিলেন। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করা তার মোটেও ঠিক হয়নি। তিনি জয়ী হলেও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে বহিস্কার হতেন। এটা আবেগপ্রবন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী না জানলেও তার জানা উচিৎ ছিলো। ৩) তিনি বহিস্কার হলে সারা জেলায় তার অনুসারী বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বেকায়দায় পরে যাবে। তাদেরকে মামুন মাহমুদ মাইনাস করে ফেলবেন এবং হয়েছে সেটাই।

ফলে এই তিন কারনে নির্বাচনে অংশগ্রহন তৈমুর আলম খন্দকারের নিজের জন্য এবং তার অনুসারীদের জন্য এমন কি দল হিসাবে এই জেলায় বিএনপির বিরাট ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।