ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি...

তৈমুর না থাকায় সুযোগের অপব্যাবহার করছেন মামুন

174
ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ :

আজ যদি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির আহবায়ক থাকতেন তাহলে সারা জেলায় বিএনপির ভেতরে এমন বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি হতো না বলে মনে করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, এডভোকেট তৈমুরকে দল থেকে বহিস্কার করার পর একেবারে বেপরোয়া হয়ে উঠেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ।

জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহন করার কারণে তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়। আর এই বহিস্কারের কারণে অবৈধ ও অন্যায় ফায়দা লুটতে তৎপর হয়ে উঠেন মামুন মাহমুদ। তড়িঘড়ি করে পছন্দের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন থানার আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর এখন দ্রুত থানা সম্মেলন করে প্রত্যেক থানায় নিজের পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তিনি।

আরও জানা যায়, ইতিমধ্যেই তিনি আড়াইহাজার থানা কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও সেখানে নজরুল ইসলাম আজাদ জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি দলের মহাসচিবকে এনে এই সম্মেলন করেন। সেখানেও দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং দলের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মাইনাস করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এই কমিটিও মামুন মাহমুদের অনুগত কমিটি বলে জানা গেছে।

এদিকে, আড়াইহাজার সম্মেলনের দু’দিন যেতে না যেতেই এবার দলের দু:সময়ে হামলা মামলার শিকার বহু নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি গঠনের পায়তারা চালানো হয়েছিলো। শুক্রবারই এই কমিটি গঠনের চেষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ ও সংঘবদ্ধ হয়ে সম্মেলনে হামলা চালায় এবং সম্মেলন ভন্ডুল করে দেয়। এসব কারনে সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপিকে যারা ভালোবাসে তাদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল নারায়ণগঞ্জ শহরেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। দলে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য মামুন মাহমুদকে দায়ী করা হয়। বঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান, পদলোভী মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার জন্য থানায় থানায় পকেট কমিটি গঠন করে চলেছেন। এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার না থানার কারনে তিনি সুযোগের অপব্যাবহার করছেন।

তবে গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তার খায়েস মিটিয়ে দিয়েছে বলে ক্ষোভের সুরে জানান অনেকে। তৈমুর না থাকার সুযোগে মামুন মাহমুদ সাংগঠনিক ভাবে বিএনপিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন বলেও দাবি তাদের। তিনি নিজের আখের গুছাচ্ছেন এবং এরই মাঝে প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন।