না.তৃনমূল মনে করেন বিএনপির অংশগ্রহনেই হবে আসন্ন নির্বাচন এবং বিএনপির প্রার্থীই জিতবে...

না.গঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নের লড়াই থেকে মাইনাস এক

112

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সম্ভাব্য তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মাঝে একজন নিজে থেকেই সরে গেলেন। আগামী নির্বাচনে এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাসী হিসাবে আলোচনায় ছিলেন তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিএনপি সমর্থক শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল এবং বিএনপির বিদ্রোহী নেতা আতাউর রহমান মুকুল। কিন্তু এরই মাঝে মুকুল এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের ব্যাপক প্রশংসা করে বক্তব্য রেখেছেন।

আর এই সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করলেও বাস্তবে তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক। তার পরিবার আওয়ামী লীগের পরিবার। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লোক। তাই মুকুল যখন বলেন সেলিম ওসমান এতো উন্নয়ন করেছে যে তার উন্নয়নের কথা সারা রাত বলেও শেষ করা যাবে না। তখন তিনি আর বিএনপির নেতা থাকেন না। তবে বিগত দশ বছরের সেলিম ওসমান যে কি উন্নয়ন করেছেন তার চুলচেরা বিশ্লেষন হতে পারে। সেটি ভিন্ন বিষয়। মুকুল এমন বক্তব্য দিয়ে নিজেই নিজেকে সেলিম ওসমানের লোক হিসাবে পরিচয় দিলেন।

তবে, আরো আগে থেকেই মুকুল ওসমানর পরিবারের লোক হিসাবে পরিচিত। তিনি প্রয়াত নাসিম ওসমানের লোক ছিলেন। কখনোই তিনি আন্তরিক ভাবে বিএনপির রাজনীতি করেননি। তাই আগামী নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলেই সকলে মনে করেন। তাই এই আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন দুইজন প্রার্থী। এরা হলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান এবং বিএনপিপন্থী ব্যাবসায়ী আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল।

সূত্র জানিয়েছে, আবু জাফর আহম্মেদ বাবুলের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বিশেষ সম্পর্ক রযেছে। তাদের মাঝে যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিত। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি গঠনেও তার ভূমিকা রয়েছে। তিনি যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই হয়েছে মহানগর বিএনপির কমিটি। বিএনপিরই একাধিক সুত্র এ প্রতিনিধিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাংশ শিল্পপতি বাবুলের পাশে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন বলেও জানা গেছে যা কিনা মনোনয়নের সময় পরিস্কার হবে। তাই শিল্পপতি বাবুলের মনোনয়ন লাভের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

বিপরীতে, এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানও একজন যোগ্য নেতা হিসাবেই পরিচিত। বিশেষ করে বিএনপি রাস্ট্র ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই সাখাওয়াৎ হোসেন খান মাঠের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বার বার জেলজুলুমের শিকার হয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি বিএনপির একজন আইনজীবী হিসাবে আদালতে দলের নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানও তাকেও বিশেষ সন্মানের চোখে দেখেন। তাই আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপির সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর মাঝে মুকুল আউট, বাকী দুইজনের মাঝেই মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই করবেন নির্বাচন।