নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
সরকার, সরকারী দলের এমপি এবং সরকারের প্রশাসন বার বার প্রমাণ দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক এমপি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এক বিরাট ফ্যাক্টর এমনটাই মনে তার সমর্থকরা। তাদের মতে, এ কারনেই তাকে দমিয়ে রাখতে সদা তৎপর থাকেন স্থানীয় একজন এমপি এবং লোকাল প্রশাসন।
অন্যথায় নারায়ণগঞ্জে যেখানেই কোনো ঘটনা ঘটবে সেখানেই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হবে কেন এমন প্রশ্ন নেতাকর্মীদের। পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন হত্যাকান্ডের ঘটনায়ও গিয়াস উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে। অথচ এই ঘটনার সাথে সাবেক এমপির নূন্যতম কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না বলেও দাবি তার ঘনিষ্ঠদের। ওই দিনের কর্মসূচিতেও ছিলেন তিনি। তারপরেও হয়রানীমূলক মামলা দেয়া হলো তাকে। এতেই বুঝা যায় সরকারের দলের নেতারা কতোখানি সমীহ করেন সাবেক এই এমপিকে।
এদিকে, বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিগত পনেরো বছরে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কম পক্ষে শতাধিক। আর এই শতাধিক মামলার মাঝে খুনের মামলাও রয়েছে। রয়েছে নাশকতার মামলা। কিন্তু কোনো মামলাই তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ হয়নি। তবে তিনি সীমাহীন হয়রানী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, শুধু গিয়াস উদ্দিন নয় বরং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধেও দেয়া হয়েছে একের পর এক মিথ্যা মামলা। এ ভাবে মামলা দিয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতো হামলা মামলার পরেও তাকে দমানো যায়নি। তাই অনেকে মনে করেন, এই জেলায় এক পোড় খাওয়া ঝানু রাজনীতিবীদের নাম গিয়াস উদ্দিন। যাকে সরকার দলীয় এমটি থেকে শুরু করে সরকারী দলের আরো অনেকেই ভয় পান। কারণ তার রয়েছে ক্যারিশম্যাটিক রাজনৈতিক যোগ্যতা। তাই এভাবে মামলা দিয়ে তাকে দমানো যাবে না বলেই মনে করেন তার সমর্থক নেতাকর্মীরা।
এদিকে এ বিষয়ে কুতুবপুরের সন্তান এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন এই জেলার একজন অবিসংবাদিত নেতা। আর এ কারনেই কোনো অপরাধ না করার পরেও একের পর এক মামলা দিয়ে তাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, এরই মাঝে প্রমাণ হয়েছে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এসব কারণে দমবার পাত্র নন।
আমরা আরো মনে করি, এই জেলায় এখন আর তার সমকক্ষ কোনো নেতা নেই। তিনি একাধারে উচ্চ শিক্ষিত, ঝানু এবং শক্ত ধাচের একজন নেতা। তিনি নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরনা। তাই আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।