মহিউদ্দিন জনি :
সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের আক্রমনে ফতুল্লার তরুন প্রজন্মের নেতা জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনির জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। গত দুই দিনে সোস্যাল মিডিয়ায় তার প্রমান পাওয়া গেছে। দুই দিন আগে গিয়াস উদ্দিন কাশীপুরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রনি এবং শাহআলমকে ইঙ্গিত করে তাদেরকে খোঁচা মেরে টিটকারি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ময়লা পরিস্কার করে আর ওষুধ বিতরন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। তিনি রনিকে ইঙ্গিত করে ময়লা পরিস্কার করার কথা বলেন এবং শাহআলমকে ইঙ্গিত করে ওষুধ বিতরন করার কথা বলেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য জানাজানি হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিপরিতে রনি আর শাহআলমকে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ার হিরিক পরে যায়। সবচেয়ে বেশি কমেন্ট পড়ে মশিউর রহমান রনির পক্ষে। কেনোনা বিগত প্রায় ছয় মাস ধরে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা কবলিত মানুষের পাশে দাড়ান মশিউর রহমান রনি। তিনি তার যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেন। ফতুল্লা, এনায়েতনগর, কাশীপুর ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসন করার লক্ষে মাঠে নেমে কাজ করেন। ফতুল্লার লালপুর ইসদাইর গাবতলী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি নিজ খরচে বেকু লাগিয়ে খাল পরিস্কার করে দেন। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি ছিলো অনেকটাই সহনীয়। এছাড়া তিনি এনায়েতনগর ইউনিয়ন এবং কাশীপুর ইউনিয়নেও জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক অবধান রাখেন। যার ফলে তিনি সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হন। আর এসব জনহিতকর কাজ করার সময় তিনি নিজেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন এবং রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এতে তার প্রতি গণমানুষের ভালোবাসা এবং সহানুভুতি আরো বেড়ে যায়। যার ফলে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন তাকে খোঁচা মেরে কথা বলায় বিক্ষুব্দ হয়ে ফতুল্লার মানুষ। বিশেষ করে বিএনপি ও অঙ্গ দলের কর্মীরা গিয়াস উদ্দিনকে ব্যাপক আক্রমন শুরু করে দেয় যা এখনো চলমান রয়েছে। তারা গিয়াস উদ্দিনকে একজন প্রতিহিংসা পরায়ন দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেন। অনেকে মন্তব্য করেন, আপনি নিজে জনগনের জন্য কোনো কাজ করেন না, কিন্তু যারা করে তাদেরকে খোঁচা মারেন। এসব করে আপনিও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন না। অপর কয়েকজন মন্তব্য করেন আপনি কখনো নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আবার কখনো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ফুসকি মারেন। এসব কোনো রাজনীতি নয়। আপনি রাজনীতির নামে ফাজলামো করছেন। এছাড়া বহু মানুষ মন্তব্য করেন আপনি জাহাজ কেটে বিক্রি করে ফেলেছেন, ৫ আগষ্টের পর লুটপাট চালিয়েছেন। আপনার মুখে বড় কথা মানায় না। অনেকে জানতে চান আপনার মনে এতো হিংসা কেনো? এভাবেই তিনি ব্যাপক আক্রমনের শিকার হন।
তবে এ বিষয়ে জানতে মশিউর রহমান রনিকে টেলিফোন করলে তিনি বলেন গিয়াস উদ্দিন সাহেব আমার মুরুব্বি। আমি তাকে যতোদূর চিনি তাকে কেউ আক্রমন না করলে তিনি কাউকে অযথা আক্রমন করেন না। কিন্তু আমাকে তিনি কেনো আক্রমন করলেন আমি জানি না। তাকে হয়তো কেউ মিসগাইড করেছে। তবে আমি জনগনের স্বার্থে কাজ করে চলেছি। রাজনীতি করি মানুষের কল্যানের জন্য। যতো দিন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম ততোদিন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ এবং গডফাদার শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে লড়াই করেছি। এখন ফ্যাসিষ্টরা নেই তাই গণমানুষের দু:খকষ্ট লাগব করার জন্য নিজের সাধ্য মতো চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। আমাতের নেতা জনাব তারেক রহমানও আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। তাই জনপ্রতিনিধি হই বা না হই জনগনের সেবক হিসাবে কাজ করে যেতে চাই। আমি সকলের দোয়া চাই।




