গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ভেঙ্গে খিলাফত রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে – হুমায়ুন কবীর

13

 

সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে তাদের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে দূর্ণীতি ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের উপায় বিষয়ে মানবাধিকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী সমাজের উদ্যোগে এ মানবাধিকার সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ইসলামী সমাজ এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল মোঃ সেলিম মোল্লা ও আজমুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী সমাজের আমীর সৈয়দ হুমায়ুন কবীর।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্ব জগতের একমাত্র রব হলেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। কিন্তু গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রব সার্বভৌমত্বের মালিক গ্রহণ করা হয়, যা মূলতঃ মহান রব্বের সাথে কুফর এবং শিরক। কুফর এবং শিরকের পরিণতি মানুষের দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, অশান্তি এবং তাদের আখিরাতের জীবনে চিরস্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত জাহান্নাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব এবং কুরআন বিরোধী মানব রচিত সংবিধানের এবং এরই ধারক-বাহক নেতার আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত আছে, যার কারণে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার নাই, তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য আর বৈষম্য। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়া ও সংরক্ষণ হচ্ছে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি এবং দুর্নীতির কারণে সন্ত্রাস, উগ্রতা জঙ্গিতৎপরতাসহ বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা মানুষের জীবনকে গ্রাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতাসহ সকল মানবতা বিরোধী অপরাধ ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ ভেঙে দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থ্য ইসলাম তারই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খিলাফত রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই। সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ ইসলাম বিরোধী সকল ব্যবস্থা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান, মোঃ নুরুদ্দিন, মোঃ আলী জিন্নাহ্, মোঃ সোহেল, আবু জাফর মোঃ সালেহ, নাজমুল হাসান এবং জেলার দ্বায়িত্বশীল মোঃ মাসুম, হাবিবুর রহমান ও ইসলামী সমাদের অন্যতম সদস্য ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।