# এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাগবে আপ্রান চেষ্টা করছি : আউয়াল মেম্বার # এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ চাই : হাসেম মাস্টার...

কালবৈশাখী ঝড়ের দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতেই ডুবেছে ফতুল্লা

125
কালবৈশাখী ঝড়ের দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতেই ডুবেছে ফতুল্লা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গত শুক্রবার কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মাত্র দেড় ঘন্টার বৃষ্টিতেই ডিএনডির ভেতর ফতুল্লা ইউনিয়নে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ইউনিয়নের বৃহত্তর ইসদাইর, টাগারের পাড়, লালপুর এবং পাইলট স্কুলসহ আশেপাশের এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।

মূলত দুই কারণে এ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। প্রথমত বিগত বছর গুলিতে যে কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিলো ওই বিষয়টিতো বিদ্যমান রয়েছেই তার উপর এবার লিংক রোডে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে যে বক্স কালভার্টটি রয়েছে সেটিও নির্মান কাজ চলমান থাকার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে অল্প সময়েল বৃষ্টিতেই ডুবে গেছে গোটা এলাকা।

এসব এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে এখন আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। বসবাসকারী সাধারন মানুষ মনে করে, আসন্ন বর্ষায় তাদেরকে এবার ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে যদি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয়।

এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন, গত বর্ষায় ইসদাইর রেল লাইন বক্সকালভার্টটি হতে সাবরেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন বক্সকালভার্ট পর্যন্ত যে কাঁচা ড্রেনটি রয়েছে তা এবার এখনো পরিস্কার করা হয়নি। ফলে রেল লাইনের পশ্চিম পাড়ের পানি নামার রাস্তা প্রায় বন্ধ।

এদিকে এ বিষয় ইসদাইরের বিশিষ্ট মুরুব্বী আবদুল হাসেম মাস্টারের সাথে যোগাযাগ করলে তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে পরিস্থিতি এবার আরও খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যাচ্ছে এলাকা। আপনারা জানেন গত শুক্রবার কাল বৈশাখী ঝড়ের সময় মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতেই আমাদের রাস্তাঘাট, বাড়ির আঙ্গিনা ডুবে গেছে। অনেকের ঘরের ভেতরও পানি ঢুকেছে। তাই আমরা এবার চরম আতংকের মাঝে রয়েছি। কেননা এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে গত এক বছরে কোনো কাজ হয় নাই। পরিকল্পিত ভাবে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ছিলো সেটা হয় নাই।

তিনি বলেন, যদিও এখন সময় আর বেশী নেই, তারপরও আমি মনে করি যে সময় হাতে আছে এই সময়ের মাঝে যদি অন্তত কাঁচা পাকা ড্রেনগুলি ভালোমতো পরিস্কার করে দেয়া হয় এবং লিংক রোডে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে যে বক্স কালভার্টটি রয়েছে সেটিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ যে বাধ দিয়েছে সেটি যদি পরিস্কার করে দেয়া হয় তাহলে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে এলাকাবাসী। অন্যথায় এবার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে আমি মনে করি। তাই এ বিষয়ে আমাদের মাননীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড তথা ইসদাইর এলাকার মেম্বার আবদুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লিংক রোডে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সানে যে বক্সকার্লভার্টটি দিয়ে আমাদের এই বিশাল এলাকার পানি নামে সেটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ বন্ধ করে রেখেছে। আমরা তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করছি। তারা বলেছিলেন বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই সেটি খুলে দেয়া হবে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত খোলা হয় নাই। অথচ এরই মাঝে বৃষ্টি হয়ে গেলো। তাই এ বিষয়ে আমি বেশ চিন্তার মাঝে রয়েছি। এরই মাঝে বিষয়টি মাননীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানকে অবহিত করা হয়েছে। ওই জায়গায় কালভার্টের মুখটি না খুললে পানি নামার অন্য কোনো রাস্তা নেই।

এছাড়া এলাকার ড্রেনগুলি পরিস্কার করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। নির্বাচনের পর আমরা দুটি মিটিং করতে পেরেছি। আগামী কালও (আজ) চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে দেখা হবে। এসব বিষয়ে কথা বলবো। গোটা এলাকার সমস্যা আমার মাথায় রয়েছে। এ নিয়ে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, নতুন মেম্বার হয়েছি তাই এলাকাবাসীর সহায়তা চাইতে বিব্রতবোধ করছি। তারপরেও বলবো এরই মাঝে যদি সরকারী বরাদ্দ না পাই তাহলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই তাদের সহায়তায় ড্রেন পরিস্কারের কাজ শুরু করে দেবো ইনশাআল্লাহ। এবার যাতে এলাকাবাসীকে ভুগতে না হয় সেই জন্য আমি আপ্রান চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।