লাঙ্গলে ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ সোনারগাঁবাসীর প্রশ্ন?...

করোনার সময় কোথায় ছিলেন কায়সার হাসনাত?

27

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ৯ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করছেন জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, করছেন ভোট প্রার্থনা, বলছেন বিগত দিনের উন্নয়নের কথা। ভোটাররাও বুকে আগলে, মাথা চাপড়ে, হাত মিলিয়ে দিচ্ছেন লাঙ্গলে ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা।

সাধারণ ভোটাররা এসময় বলছেন, বিগত ১০ বছরে উন্নয়নের পাশাপাশি করোনাকালে আপনি একজন এমপি হয়ে যা করেছেন তা কি কখনো ভুলতে পারবো আমরা। চাইলেই অনেক নেতাদের মতো ঘরে বসে থেকে নিজের ও নিজের পরিবারের চিন্তা করতে পারতেন। তা না করে, নিজের এবং পরিবারের জীবনের ঝুঁিক নিয়ে নিজ¦ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন, কাজ হারানো ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, মৃতদের সৎকার করেছেন। এছাড়াও, বিগত ১০ বছরে যে যেখানে ডেকেছে, তখনই পাশে দাড়িয়ে সেবা দিয়েছেন। তাহলে আপনাকে ভোট দিবো না দিবো কাকে?

নির্বাচনে দাড়ানো অন্যান্য প্রার্থীদের বিষয়ে সাধারণ ভোটাররা বলেন, করোনাকালে বিশ^বাসীর মতো যখন সমগ্র সোনারগাঁবাসী বিপদে ছিলো, তখন কোথায় ছিলো এতো বড় বড় প্রার্থীরা। যারা এখন টাকার ঝনঝনানি দিচ্ছেন, পেশীশক্তির ব্যবহার করছে, তখন কোথায় ছিলেন তারা। নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে উদ্দেশ্য করে স্থানীয়দের অনেকে বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন সকল নেতাকর্মী ও সামর্থ্যবানদেরকে অসহায়দের পাশে দাড়াতে বলেছিলো, তখন কি করেছেন আপনি? আপনাকে তো দেখিনি কোথাও কারো পাশে দাড়াতে। তাহলে কোন মুখে নির্বাচনে দাড়িয়ে ভোট চাইছেন সাধারণ জনগনের কাছে? কেন আমরা ভোট দিবো আপনাকে এমন প্রশ্নও করছে সাধারণ জনগন।

সূত্রে জানা যায়, করোনা কালে নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করে নিজ নির্বাচনী এলাকা তথা সোনারগাবাসীর পাশে ছিলেন লিয়াকত হোসেন খোকা। মানুষের সেবা, খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করেছেন তিনি। কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে সেজন্য সরকারী অর্থায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে ব্যাপক খাদ্য সামগ্রীর উপহার দিয়েছেন সোনারগাঁবাসীকে। কঠিন ঐ মুহুর্তে যখন বাবার লাশ ছেলে ধরতো না, ছেলের লাশ বাবা ধরতো না, তখন নিজের ও পরিবারের চিন্তা না করে মৃত মানুষদের সৎকার করেছেন তিনি। দিনের পর দিন পরিবার ছেড়ে বাইরে অবস্থান করে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করেছেন এই সংসদ সদস্য।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার বয়জ্যেষ্ঠদের মতে, এতোদিন পরিশ্রম করেছে খোকা, আর এখন মজা উপভোগ করতে চায় কায়সার হাসনাত। এটা হতে পারে না, এটা হতে দেয়া হবে না বলে জানান তারা। তারা বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তো কায়সারই এমপি ছিলো, কি করেছে সে ঐ পাঁচ বছরে যা মানুষ মনে রাখবে বা তাকে আবার ভোট দিবে। এলাকার তথা জনগনের উন্নয়ন না করলেও নিজের পকেট ঠিকই ভরেছে সে। এমনকি তার স্ত্রীর শেল্টারে ব্যাপক চাঁদাবাজী করেছে সন্ত্রাসীরা। খুনের ঘটনাও ঘটেছে সেই সময় জানায় তারা।

খোকা সম্পর্কে তারা বলেন, লিয়াকত হোসেন খোকার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী নেই, না আছে ক্যাডার বাহিনী। গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন সোনারগাঁয়ে হয়েছে, স্বাধীণতা পরবর্তী সময়ে আর কখনোই এতো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করেছে প্রতিটি ইউনিয়নের, প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দারা। ছিলো না কোনো মারামারি, সংঘাত, হানাহানি। দুই মেয়াদে এমপি থাকার পরও ব্যক্তিগত ভাবে বা রাজনৈতিভাবেও কারো সাথে খোচাখুচি করা তো দুরে থাক, কারো সাথে মনমালিন্যও হয়নি খোকার। দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে সোনারগাঁয়ের উন্নয়নে কাজ করেছে সে। এমন এমপিই তো বারবার চাই, তাই ০৭ জানুয়ারীর নির্বাচনেও শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সোনারগাঁয়ে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে লিয়াকত হোসেন খোকাকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তারা