এনায়েতনগরের ৯নং ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মাশকুল ইসলাম রাজীব “শহীদ জিয়া সততার বিরল দৃষ্টান্ত”

271
FramerKARIGOR

 

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশকুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক এবং বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সততার এক বিরল দৃষ্টান্ত। বহু অপচেষ্টা করেও কোনো স্বৈরাচারী শক্তি তার নামে সামান্যতম কলঙ্ক লেপন করতে পারেনি।” আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভা, দোয়া ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মাশকুল ইসলাম রাজীব শহীদ জিয়ার বিভিন্ন গুণাবলীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি এমন একজন নেতার আদর্শের অনুসারী, যিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে এবং এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, ছিলেন ন্যায়পরায়ণতা, সৎ সাহস ও নির্মোহ সাধারণ জীবনযাপনের প্রতিচ্ছবি। দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার যে ভালোবাসা ছিলো, সেটার কারণে দলমত নির্বিশেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে গেঁথে রয়েছে।”

রাজীব আরও বলেন, “বিগত স্বৈরাচারী সরকার বিভিন্ন নেতাকর্মী, বিভিন্ন মানুষের নামে নানা অপবাদ দিয়েছে। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে একটি কলঙ্ক, একটি মিথ্যা অপবাদ তারা কখনো দিতে পারেননি। কারণ উনি ছিলেন একজন ন্যায় পরায়ণ রাষ্ট্রপ্রধান, উনি ছিলেন সততার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি ব্যক্তি, উনি ছিলেন সৎ সাহসিকতার সহিত চলা একজন ব্যক্তি। একটি মানুষের চরিত্রে এতোগুলো ভালো গুণের সংমিশ্রণ থাকার পরও তার ভিতরে কখনো কোনো অহমিকা, আমিত্ব ভাব কিংবা অহংকার ছিলো না। একদম নির্ভেজাল, সাধারণ মানুষের মতো ছিলো তার আচরণ।”
বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিগত সময়ে বিএনপির ৯৯ ভাগ নেতাকর্মীই হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এখন বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় এসেছে।” তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে দল সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
গাবতলীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মাশকুল ইসলাম রাজীব বলেন, “বৃষ্টি হলে নারায়ণগঞ্জ শহরের অনেক স্থানই ডুবে যায়, সেখানে গাবতলীর কি অবস্থাও সেটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। এখানে রাজণৈতিক বক্তব্য দেয়া ঠিক না, তারপরও বলি আমাদের দল যদি রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব পায় তাহলে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, “আজকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে গিয়েছি, কিন্তু কোথাও এই ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখিনি। বেশির ভাগ জায়গায়ই রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে, এখানে বিএনপি নেতা শহিদ চাচা যে ঈদ সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করেছে তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ও প্রশংসনীয়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপি নেতা সহিদুল হক সহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মুকুল হোসেন খান, তারেক রহমান ও নুরে আলম অপু। অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং উপস্থিতদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।