নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, আমাকে নিয়ে অনেকে ট্রল করে যে আমি কোথায় ছিলাম। কিন্তু আমাদের অবদান আপনারা গোপনে জানবেন না। আমরা যদি আন্দোলনে, নির্বাচনে, কঠিন সময়ে অবদান না রাখতাম তাহলে ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতিতে দল টিকে থাকতে পারত না। দল তা জানে। আপনারা স্বীকার করুন বা না করুন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি দলের জন্য এবং মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুর্গোৎসব আমাদের সবার উৎসব। শুধু সনাতনী ভাইবোনদের নয়, এ উৎসব আমাদেরও। কোনো ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবো। যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় তারা আসলে রাজনীতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে চায়। আমরা বিভক্ত হবো না, ঐক্যবদ্ধই থাকবো।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৪২টি দুর্গাপূজা মণ্ডপে অনুদান প্রদানের জন্য নতুন পালপাড়ার শ্রীশ্রী সত্যধাম মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ আরও বলেন, তারেক রহমান সাহেব আমার অতীত, পরিবার, রাজনৈতিক ইতিহাস সবকিছু খতিয়ে দেখে তারপরই আমাকে বিএনপির সদস্য করেছেন। ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে এভাবে সদস্য সংগ্রহ হয়নি। তাই নিশ্চিতভাবেই চিন্তাভাবনা করেই তিনি আমাকে দলে নিয়েছেন। দলের ভেতরে অনেক কথা হচ্ছে, ট্রল হচ্ছে, ছবির রাজনীতি হচ্ছে। আমি নেতা-কর্মীদের বলবো কারও সঙ্গে দাম্ভিক জবাব দেওয়া যাবে না, বরং ভালো কাজের মাধ্যমেই আমরা এর জবাব দেবো। শহর-বন্দরের অনেক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জয় কে রয় চৌধুরী বাপ্পী, সাধু নাগ মহাশয় আশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারপদ আচার্য, সভাপতি ননী গোপাল সাহা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সারদাঞ্জলী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পাল, জেলা সভাপতি আশিষ দাস, জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অভয় কুমার রায়, সদস্য সচিব কার্তিক ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, পূজা উদযাপন ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উপদেষ্টা ও নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শংকর রায়, গণসংহতি আন্দোলন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পপি রানী সরকার, মডেল গ্রুপের পরিচালক শামীম আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন সরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানা, মহানগর বিএনপির সদস্য মো. ফারুক হোসেন, এড. বিল্লাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, এড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, মনোয়ার হোসেন শোখন, সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুসহ প্রমূখ।




