এখন কোথায় গেলো সেই ওয়াদা?

153

স্টাফ রিপোর্টার :

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনেনায়ন পেয়েছিলেন মডেল গ্রুপের মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ। কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে তিনি হঠাৎ করেই নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে একেবারে গোটা জাতিকে জানান দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যান। এরপর এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে দল থেকে ডেকে নিয়ে মনোনয়নের জন্য টাকা জমা দিতে বলেন এবং তাকে মাঠে নেমে কাজ করতে বলেন। তারপর থেকেই তিনি মাঠে নামেন। কিন্তু মজার বিষয় হলোে এর আগে মাসুদুজ্জামানকে ঠেকাতে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেছিলেন সাখাওয়াৎ, টিপু, আবুল কালাম, তার ছেলে আবুল কাউসার আশা এবং শিল্পপতি আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল। তারা দখন দলের কাছে আবদার করে জানিয়েছিলেন মাসুদকে বাদ দিয়ে যেনো তাদের একজনকে মনোনয়ন দোয়া হয়। তাদের মাঝখান থেকে যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই মেনে নেবেন তারা। তারা এ বিষয়ে ওয়াদাবদ্ধ হন। অবশেষে মাসুদুজ্জামানের একটি বড় ধরনের ভুলের কারনে হোক বা অন্য কোনো কারনেই হোক দল থেকে সাখাওয়াৎকে ডেকে নিয়ে মাঠে নামতে বলেন। সাখাওয়াৎ দলীয় নির্দেশনা পেয়ে মাঠে নামেন এবং মনোনয়নের টাকাও জমা দেন। আর এখানে উল্লেখ্য এবার আগের মতো মনোনয়ন ফর্ম বিক্রী করছে না বিএনপি। তাই ইচ্ছে মতো কেউ মনোনয়ন ফর্ম কিনতে পারবেন। দল যাকে টাকা জমা দিতে বলবেন তিনিই টাকা জমা দেবেন এবং নির্ব।াচন করবেন সেই ক্ষেত্রে দল একাধিক ব্যাক্তিকে টাকা জমা দিতে বলতে পারেন। কেনোনা দলকে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে কোনো কারনে একজনের মনোনয়ন বাতিল করা হলে পরের জন নির্বাচনটা করতে পারেন। তাই দল থেকে সাখাওয়াতকে টাকা জমা দেয়ার কথা বলার মানেই হলো দল এখন প্রথম পছন্দ হিসাবে সাখাওয়াৎকেই বেছে নিয়েছেন। এখন মাসুদুজ্জামান হতে পারেন সেকেন্ড চয়েজ। কিন্তু মজার বিষয় হলো এরই মাঝে এডভোকেট আবুল কালাম এবং শিল্পপতি বাবুল সাখাওয়াতের এই মনোনয়ন মানছেন না। তারা বলছেন, সাখাওয়াৎ নাকি মনোনয়ন পাননি। তার মানে তারা তাদের ওয়াদার চরম বরখেলাফ করছেন। এতে প্রমান হচ্ছে এরা কেউ কাউকে পছন্দ করেন না। তারা তখন কেবলমাত্র মাসুদুজ্জামানের প্রতি প্রতিহিংসার বসে তাকে ঠেকাতে একতাবদ্ধ হয়েছিলেন। তারা কেবল নিজেরটা বুঝেন। তখন তারা একজোট হয়ে মাসুদুজ্জামানকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন এবং বলেছেন মাসুদকে না দিয়ে তাদের যেকোনো একজনকে দিলেই তারা মানবেন। যদিও মাসুদের সাথে তাদের কোনো রকম বিরোধ ছিলো না। কিন্তু এখন আবার সাখাওয়াতকেও মানছেন না। এতে কি প্রমান হচ্ছে? অনেকের মতে এটাই প্রমান হচ্ছে যে এরা ওয়াদা বরখলাপকারী এবং ক্ষতালোভী। এরা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসেন না। ##