আমরা মহানগর বিএনপির সবাই মাসুদুজ্জামানের পাশে : সেন্টু

264

স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম ও তার ছেলে আবুল কাউসার আশা। এরই মাঝে তারা নির্বাচনী এলাকার এক হাজার মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই এক হাজার মানুষ নাকি এডভোকেট আবুল কালামকে এমপি হিসাবে দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু বিপরিতে এই বিষয়টি মাসুদুজ্জামানের সমর্থকরা জানতে পেরে তারা বলছেন দলের কেন্দ্র থেকে চাইলে তারা মাসুদুজ্জামানের পক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জমা দিতে পারবেন।

এ বিষয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সবুর সেন্টু বলেছেন, দল সব খোঁজ খবর নিয়েই মাসুদুজ্জামানকে মনোনয়ন দিয়েছে। মাসুদুজ্জামান ক্লিন ইমেজের একজন খুবই শক্তিশালী  প্রার্থী। এডভোকেট আবুল কালাম, এডভোকেট সাখাওয়াত এবং আবু আল ইউসুফ খান টিপু দলীয় স্বিদ্ধান্ত না মেনে ভুল করছেন। মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাসুদুজ্জামানকে মেনে নিয়ে মাঠে নেমে পরেছেন। একচল্লিশ সদস্যের মহানগর কমিটির মাত্র তিন/চার জন নেতা কালাম সাহেবের সঙ্গে রয়েছেন। বাকী সবাই রয়েছেন মাসুদুজ্জামানের সাথে। আবদুস সবুর সেন্টু আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন তখন থেকেই মাসুদুজ্জামানের গোটা পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত। অতীতে এডভোকেট আবুল কালাম যতোবার এমপি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ততোবার মাসুদুজ্জামান ও তার পরিবারে জানমাল হাজির রেখে তার জন্য কাজ করেছেন। বার বারই মাসুদুজ্জামান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এডভোকেট আবুল কালামের জন্য লড়াই করেছেন। তাই আমরা আশা করেছিলাম কালাম সাহেব এবার তার প্রতিদান দেবেন। কিন্তু তিনি কি করলেন, দল মাসুদুজ্জামানকে মনোনয়ন দেয়ার পরেও তিনি সেটা মেনে না নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। আমি মনে করি কালাম সাহেব ভুল করছেন। তার উচিৎ দলীয় প্রার্থীর পাশে থাকা। আর আমি বিশ^াস করি মাসুদুজ্জামান জয়ী হলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের সর্বত্র শৃংখলা ফিরে আসবে। তাই আমি কালাম সাহেবের প্রতি আহবান জানাবো আসুন আমরা নিজেদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের চিন্তা বাদ দিয়ে দলের এবং জনগনের স্বার্থে কাজ করি এবং দলীয় প্রার্থীর হাতকে শক্তিশালী করি। তিনি আরো বলেন গতকাল, কালাম সাহেব, সাখাওয়াৎ সাহেব এবং টিপু সাহেব যে নাটক মঞ্চস্থ্য করেছেন তা আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এবং পাঁচ আসনের জনগনের গ্রহন করেনি। রাতেই সোস্যাল মিঢিয়ায় তার প্রমান পাওয়া গেছে। শতকরা নব্বই শতাংশ মানুষ মাসুদুজ্জামানের পক্ষে তাদের মতামত ব্যাক্ত করেছেন। অতএব আমি বলব সময় থাকতে তারা যেনো তাদের এসব বক্তব্য নিজ থেকে প্রত্যাহার করে নেন। তা না হলে দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিলে কিছুই করার থাকবে না। তারা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করছেন।