নারায়ণগঞ্জের দ্ইু অভিসাপের নাম অটো রিকশা এবং হকার

236

স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জের দ্ইু অভিসাপের নাম অটো রিকশা এবং হকার। এরা গিলে খাচ্ছে এই জনপদকে। এই দুই অভিসাপের কারনে গোটা নারায়ণগঞ্জ শহর এবং ফতুল্লা থানা এলাকা সহ আশপাশের এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। গোটা এলাকার সড়ক জুরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারন করেছে যে নারায়ণগঞ্জ শহরের সব সড়ক এবং ফতুল্লার সব সড়কে যাবাহন ঢুকলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। এতে পরিস্থিতি এখন আতংকজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জের ব্যাবসা বানিজ্য একেবারে স্থবির হয়ে পরেছে। ফলে মানুষ এখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি হচ্ছে। একার নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকলে বের হতে কয়েক ঘন্টা লেগে যাচ্ছে। কখনো পাঁচ মিনিটের রাস্তা পারি দিতে ৩/৪ ঘন্টা লেগে যাচ্ছে। ফলে নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করছে এই শহরকে গিলে খাচ্ছে অবৈধ অটো রিকশা আর অবৈধ হকাররা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমার অফিস হলো চাষাঢ়ার সমবায় মার্কেটে। প্রতিদিন সকাল দশটায় আমি অফিসে যাই। যাওয়ার সময় খুব বেশি যানজট না থাকলেও ফেরার পথে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয়। এতে চাষাঢ়া থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত পৌঁছেতে ২/৩ ঘন্ট লেগে যায়। অথচ এটা সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের রাস্তা। একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন দেওভোগ পাক্কা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজু। তিনি বলেন ব্যাবসার কাছে আমাকে প্রায়ই ঢাকা যেতে হয়। কিন্তু আজকাল ঘর থেকে বের হতেই আতংকে থাকি। কারন শহরের ২নং রেল গেইট থেকে চাষাঢ়া মোড় পর্যন্ত যেতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়। ফেরার পথেও একই রকম অবস্থা বিরাজ করে। কারন একদিকে হাজার হাজার অবৈধ অটো রিকশার দৌড়াত্ব তার উপর গোটা শহর দখল করে নিয়েছে অবৈধ হকাররা। তাই এই শহর এখন আর বসবাসের উপযোগী নেই। এসব অটো রিকশা আর হকাররা আমাদের জন্য অভিসাপ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রান চাই।