না.গঞ্জ-৪ আসনে প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন শাহআলম...

দাড়ি পাল্লার সাথে খেজুর গাছের লড়াইয়ের সম্ভাবনা

195

স্টাফ রিপোর্টার :
এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এবার কি ধানের শীষ প্রতিক থাকছে না? কারন নির্বাচন কমিশনের সংশোধিত আইন অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলি যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তাহলে যার যার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ফলে এবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর নেতা মনির হোসাইন কাসেমী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হলেও তাকে নির্বাচন করতে হবে তার নিজের দলের প্রতিক খেজুর গাছ নিয়ে। আর সেই ক্ষেত্রে এই আসনের জনপ্রিয় প্রতিক ধানের শীষ থাকছে না। কারন জোট সঙ্গী জমিয়তকে আসনটি ছাড় দিলে এখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকবে না।
এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে অপর জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার নির্বাচন করবেন তাদের নিজ দলীয় প্রতিক দাড়ি পাল্লা নিয়ে। তাহলে এই আসনে লড়াই হবে দুই ইসলামী দলের মাঝে। লড়বে জামায়াত বনাম জমিয়ত, দাড়ি পাল্লা বনাম খেজুর গাছ। এখানে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার এবং জমিয়তের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী। যদি এই সমিকরন বহাল থাকে তাহলে এই আসনে শেষ পর্যন্ত থাকবে না ধানের শীষ এবং বিএনপির কোনো প্রার্থী।
অপরদিকে বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্য প্রতিক্রিয়া। কারন আসনটি বিএনপির ঘাটি। আর বিগত তিনটি নির্বাচনে বিএনপির ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। তাই বিএনপির ভোটাররা চাইছেন তাদের নিজ দলের প্রার্থী। বিএনপি মনে করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি থেকেই স্থানীয় একজন নেতাকে মনোনয়ন দেয়া উচিৎ। কারন এখানে অনায়াসে জয়ী হবে বিএনপির প্রার্থী। সেই ক্ষেত্রে জনপ্রিয় নেতা আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলমকে বেঁছে নেয়া যেতে পারে। এই দুই জনের যেকেনো একজনকে মনোনয়ন দিলে জিতে যাবেন তারা। কিন্তু জমিয়তকে মনোনয়ন দিলে জামায়াতের চ্যালেঞ্জে পড়বে বিএনপি। এছাড়া শাহআলম যদি স্বতন্ত্র প্রার্থীও হন তাহলে এবারের নির্বাচনে তার জিতে যাবার সম্ভাবনা বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কি করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। এখানে দাড়ি পাল্লার সাথে যদি খেজুর গাছের লড়াই হয় তাহলে যে দাড়ি পাল্লা জিতে যাবে তাতে কারোই কোনো সন্দেহ নেই। আর শাহআলম যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তাহলে লড়াই হবে তৃমুখী।