৫ আগষ্টের পর থেকে সংযত পথেই হাটছেন রনি

192

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনির নেতৃত্বে গত বুধবার রাজধানীতে তারুন্যের ঢল নেমেছিলো। রনির ব্যাপক সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে এই মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ জেলায় যুবদল অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

রনি নিজে সকল প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে দূরে রয়েছেন এবং তার কর্মীদেরকে সদা সতর্ক অবস্থায় রাখার চেষ্ঠা করছেন। তারপরেও মশিউর রহমান রনি প্রায়ই নিজ দলের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন এবং তিনি কাংখিত প্রচার পাচ্ছেন না। বরং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য একটি মহল সব সময় ওৎ পেতে রয়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। ফলে রনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত হোক বা না হোক প্রায় সোস্যাল মিডিয়ায় তাকে জরিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।

অথচ রনি ৫ আগষ্টের পর থেকে বিগত ৯ মাস নিজেকে সংযত রেখেছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রয়েছে রনি নাকি বিসিকের দের শতাধিক গার্মেন্ট এর জুট নামাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিসিকের গার্মেন্টগুলির জুট বিএনপির সকল পক্ষ ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। রনি চাইলে অনেক কিছুই নিজের নিয়ন্ত্রনে নিতে পারতো। কিন্তু বদনাম হবে এই ভয়ে নিজে সংযত থেকেছেন এবং তার বিশাল কর্মী বাহিনীকেও সংযত রেখেছেন।

এ বিষয়ে রনির ঘনিষ্ট সূত্রগুলি জানিয়েছে, মশিউর রহমান রনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে দলের পক্ষে ভূমিকা রাখতে গিয়ে গডফাদার শামীম ওসমান এবং প্রশাসনের রোষানলে পরে নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিলেন। রনিকে ক্রসফায়ারে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলো শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী। তবে তখন নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি মিডিয়ার সাহসী পদক্ষেপ এবং প্রচরের কারনে প্রানে বেঁচে গেছেন রনি। ফলে রনির সামনে রয়েছে সুন্দর রাজনৈতিক জীবনের হাতছানি। তাই তিনি নিজেকে কতোটা নিয়ন্ত্রনে রাখেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। সকল প্রকারের ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে তিনি সঠিক পথে এগিয়ে যাবেন বলে তার শুভাকাংখিরা অনেকেই আশা করেন।