দিদার হত্যা ও জিলানীর উপর হামলার ঘটনায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

22

 

 অত্যান্ত বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে  গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানি ও দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে  শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের মিশনপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, খুনি হাসিনা দেশ ছেড়েছে ঠিকই কিন্তু তার রক্ষী বাহিনীরা কিন্তু এখনো বলদ আছে। যার জন্য আমরা কিন্তু নিরাপদ না। আমরা বিরোধী দল করি আমাদের উপরে হামলা নির্যাতন হতেই পারে কিন্তু দেশের জনগণ কিন্তু নিরাপদ না। এখন থেকে আমরা যেখানে আওয়ামী লীগের দোসর ও দালালদের পাব আমরা কিন্তু নিজের হাতে আইন তুলে নিব না আমরা তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করব। দেশে কিন্তু শান্তিপ্রিয় সেনাবাহিনী এখনো আছে তারা দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। এ হত্যার উদ্দেশ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর উপর হামলা চালিয়েছে খুনি হাসিনার দোসররা। এ হামলায় আমাদের ভাই দিদারকে নির্মূলভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের উপর কিন্তু হামলা নির্যাতন হচ্ছে তারা থানায় মামলা নিতে গেলে থানার ওসি কিন্তু তরি মুশি করছে। আপনারা কিন্তু এখন আর আওয়ামী লীগের প্রশাসন না এখন কিন্তু জনগণের প্রশাসন। সুতরাং আপনারা দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করুক। আপনারা জানেন এ আওয়ামী লীগের দোসরাই কিন্তু আমাদের মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্ব আহত করেছে। সেই ভিডিও ফুটেজ কিন্তু সাংবাদিকসহ সকলের কাছে আছে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল গোপালগঞ্জে আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানীর উপর হামলা চালিয়েছে এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদার ভাই নিহত হয়েছে। আমরা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে কিন্তু শেখ হাসিনা লেজ গুটিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে । কিন্তু তার দালালরা এখনো কিন্তু দেশের আনাচে-কানাচে অবস্থান করছে তারা যেকোনো ভাবে আমাদের উপরে হামলা করতে পাঁয়তারা করছে। আমরা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে আজকে ঘোষণা দিতে চাই আমরা আর প্রতিবাদ জানাবো না এখন থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জের যেইখানে আওয়ামী লীগের দালালদের পাবো আমরা সমোনচিত জবাব দিব। আমরা আর ছাড় দেব না যেখানেই তাদের পাব সেইখানে প্রতিরোধ করব।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের  সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, সাহেব উল্লাহ রোমান, ভিপি নজরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, শাহিন আহম্মেদ, আক্তার হোসেন, মাহাদী হাসান মিঠু, রায়হান হক, রেজাউল করিম, শাকিল আহমেদ, আক্তার হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমান শিকদার (দপ্তরের দায়িত্বে) ,হাসানুজ্জামান লিমন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে), শরিফুর রহমান, জাকির হোসেন জুয়েল,সাইফুল ইসলাম,মুনতাছির রহমান স্বপন, রাজা মিয়া, রুহুল আমিন, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান রানা, উজ্জল হোসেন, আক্তার হোসেন টুটুল,মিজানুর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, আরমান সরদার, আনিছুল হক বাবু,গোলাম মোস্তফা,মনির হোসেন (১১ নং ওয়ার্ড), রুবেল হোসেন ( গোগনগর), মাহবুব হোসেন, বাধন মজুমদার, মাহাবুবুর রহমান, জামাল হোসেন, মানিক মন্ডল, বোরহান ঢালী, লুৎফুর রহমান লিটন, ইসমাইল খান মো. আলমগীর, জুবায়ের আহমেদ রোহান,আকিব কাউসার, মনির হোসেন (১২ নং ওয়ার্ড),আনোয়ার হোসেন আনু, মো. শাহাবুদ্দিন, রোমান ইসলাম, আফসার কাজী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ্ আলম মাষ্টার, রিপন সরকার, লুৎফর রহমান রাসেল, পাপ্পু, কবির হোসেন, ইউসুফ মোল্লা স্বপন, হাবিবুর রহমান, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকির হোসেন, সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দগণ।