কর্মসূচী সফল করায় সর্বস্তরের জনগনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তারা...

এ আন্দোলন বিএনপির একার নয়, সকলের মুক্তির আন্দোলন

32
নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র স্বত:স্ফুর্তভাবে অবরোধ পালন করার জন্য নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা উভয়ে বলেছেন এবারের আন্দোলন বিএনপির একার কোনো আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন সকল মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করার আন্দোলন, সকলের বেঁচে থাকার আন্দোলন, বাক স্বাধীণতার আন্দোলন। তাই এবারের আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগন স্বত:স্ফুর্তভাবে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সর্বস্তরের জনগনের সমর্থনে এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈারাচার সরকারের বিদায় ঘটবে ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সারা দেশবাসীতো বটেই সারা বিশ্ব দেখেছে এই সরকার কিভাবে আমাদের ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করে সেই সমাবেশ ভন্ডুল করে দিয়েছে। তারা হাজার হাজার রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের বহু নেতাকর্মী হতাহতের শিকার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ আরো কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অনেক নেতার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে না পেয়ে তাদের সন্তানদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এক কথায় জোর করে রাস্ট্র ক্ষমতা আকড়ে থাকার জন্য সীমাহীন জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। কিন্তু এসব করে কি এদের কোনো লাভ হবে? পরিস্কার উত্তর হলো সরকার এবার মরন কামড় দিয়েছে। তাদের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার। তবে বিদায় নেয়ার আগে দেশটাকে একেবারে ধ্বংস করে রেখে যেতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, আরো আগেই দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ফেলা হয়েছে। লুটেরা চক্র তাদের লুটপাট অব্যাহত রাখার জন্যই এভাবে বেপরোয়া তান্ডবে মেতে উঠেছে। কিন্তু আপনারা লক্ষ করে থাকবেন এরই মাঝে দেশের মানুষ রুখে দাড়িয়েছে। স্বত:স্ফুর্তভাবে হরতাল পালিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় এখন অবরোধ পালিত হচ্ছে। আমরা দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানাবো সারা জীবন ভালো থাকার জন্য মাত্র কয়েকটা দিন কষ্ট করে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকুন। কারণ এবারের এই আন্দোলন সকলের ভোটের অধিকার আদায় করার আন্দোলন।

এদিকে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, সরকার ছাত্রলীগ আর যুবলীগকে ব্যবহার করে তাদের দিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে বিএনপির উপর দায় চাঁপানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে এবার সরকার সফল হয় নাই। কারণ অনলাইন, ইউটিউব আর ফেসবুকের কল্যানে সবই পরিস্কার হয়ে গেছে কারা পুলিশ হত্যা করেছে। আবার পুলিশ নিজেরাই যে বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দায় চাঁপানোর চেষ্টা করেছে সেটাও বুমেরাং হয়ে গেছে। এছাড়া গির্জা এবং মন্দিরে আগুন দিয়েও সরকার এবার নোংড়া খেলা খেলতে চেয়েছে যার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়ে গেছে। তাই এই সরকার নিজেকে যতোই চালাক মনে করুক না কেনো এবার ভয়ংকর ভাবেই ধরা পরে গেছে সরকার। তাই এবারও তারা বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসাবে চিহ্নিত করার ব্যার্থ চেষ্টা করে নিজেরাই সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশের জনগন এবার যেকোনো মূল্যে এই সরকারের পতন চাইছে। সরকার হয়তো বিদেশীদেরকে বোকা মনে করছে তাই তারা বিদেশী রাস্ট্রদুতদের ডেকে এনে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্রিফিং করাচ্ছে। তারা বিদেশী রাস্ট্রদুতদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। আবার বলছে বিদেশীদেরকে এ দেশে নাক গলাতে দেবে না তারা। তারা প্রতিনিয়ত হাস্যকর কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা মনে করি, একটি গণঅভ্যুথ্যানের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জনগন আমাদের আন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগীতা করছে এবং নিজেরাও আন্দোলনের মাঠে রয়েছে। আর একটি দেশের জনগনকে এভাবে ক্ষেপিয়ে তুলে কোনো অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকার টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকবে না ইনশাআল্লাহ।