না.গঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের সাথে আজাদের সখ্যতা

123

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের সাথে গোপন আতাত গড়ে তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ দাবি বিএনপি নেতাকর্মীদের। দুই কারনে ওই সংসদ সদস্য তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জের একজন শীর্ষ বিএনপি নেতা জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে ওই সংসদ সদস্যের আতাতের মূলে যে দুটি কারন রয়েছে তার প্রথমটি হলো আজাদকে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই আগামী নির্বাচনে কোনো ভাবে যদি আওয়ামী লীগ হেরে যায় তাহলে রাস্ট্র ক্ষমতায় চলে আসবে বিএনপি। আর তখই এই সংসদ সদস্যের স্বার্থ দেখবেন আজাদ। এই মর্মে তাদের মাঝে সমঝোতা হয়েছে।

আর দ্বিতীয় কারনটি হলো আড়াইহাজারের বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে ওই সংসদ সদস্যের নিজ দলীয় আভ্যন্তরিন বিরোধ রয়েছে। আর আজাদ হলেন নজরুল ইসলাম বাবুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তাই আজাদকে শেল্টার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই সংসদ সদস্য। যদিও আড়াইহাজারে নজরুল ইসলাম বাবুর প্রভাব এতোটাই বেশি যে আজাদ ওই এলাকায় যেতেই পারছে না। তবে আজাদ যেহেতু বাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী এজন্য তাকে শেল্টার দেয়া হচ্ছে।

তাই নারায়ণগঞ্জ শহরে যারা আজাদের লোক হিসাবে পরিচিত তাদেরকে যেনো প্রশাসন মামলা দিয়ে হয়রানী না করেন সেই আশ্বাস দিয়েছেন ওই সংসদ সদস্য। এরই মাঝে তার একটি প্রতিফলনও লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপিতে যারা আজাদের লোক হিসাবে পরিচিত তারা মামলা মোকদ্দমার বাহিরেই থাকছেন। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় তার প্রমানও পাওয়া গেছে বলে ওই নেতা জানান।

বিএনপির ওই নেতা আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কোন কোন নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের শেল্টারে রয়েছেন। এছাড়া আজাদের শেল্টারে থেকে অনেকেই বিএনপির ভেতরে বিচ্ছৃংখলা সৃষ্টি করে চলেছে। এছাড়া জেলা ও মহানগর যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা আজাদের শিষ্য হিসাবে পদ পেয়েছেন। তারা সকলেই এখন আওয়ামী লীগের ওই সংসদ সদস্যেরও শিষ্য। তাই তারা আপাতত নিরাপদ বলেই মনে করেন নিজেদেরকে।

অথচ বিএনপির রাজনীতিতে যারা ত্যাগী এবং রাজপথে সক্রিয় তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী চলছেই। তাই আজাদের এই আতাতের রাজনীতি শেষ পর্যন্ত এই জেলায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে কোথায় নিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।