তার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন...

অবশেষে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত রাজিব

102

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

অবশেষে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে নিজ দলের ভেতরে রাজনৈতিক হিরোতে পরিনত হলেন মাসুকুল ইসলাম রাজিব। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার কথা ছিলো তার। তিনি মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন এবং জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে সরে দাড়িয়েছেন এবং যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম ফারুক খোকন। আর এ কারনে মাসুকুল ইসলাম রাজিব বিপুল ভাবে প্রসংসিত হয়েছেন।

খোদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান নিজে রাজিবের এই ত্যাগের প্রশংসা করেছেন। বার বার তিনি রাজিবের নাম নিয়ে বলেছেন তার মতোই সবাইকে দলের জন্য সেক্রিফাইস করতে হবে। একই ভাবে রাজিবের প্রশংসা করেছেন জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন। মূলত গিয়াস উদ্দিন তার বক্তৃতায় রাজিবের ভূয়সী প্রশংসা করার পরই তারেক রহমান তার বক্তৃতায় রাজিবের প্রশংসা করেন। তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিনের রাজিবের এই ত্যাগকে দলের ঐক্যের জন্য উদাহারন হিসাবে তুলে ধরেন।

দুই নেতাই তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে বলেন, রাজির প্রতিদ্বন্দ্বীতা থেকে সরে গিয়ে দলের জন্য ঐক্যের যে উদাহরন সৃষ্টি করেছেন তা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে। ফলে এই কয়দিন নানা কারনে মাসুকুল ইসলাম রাজিব সমালোচিত হলেও বর্তমানে তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন।

এছাড়া রাজিব এক সময় বিএনএফ এ যোগ দিয়েছিলেন বলে যে সমালোচনা চলছিলো সেটা যে মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু আল ইফসুফ খান টিপুর কাজ ছিলো এটা এখন দিবালোকের মতো পরিস্কার। রাজিব তখন জানতেনও না, টিপু যে এই কাজ করেছে। তবে রাজিব যখন জেনেছেন তখন সঙ্গে সঙ্গেই লিখিত প্রতিবাদ করেছিলেন। যার প্রমান রাজিব নিজেই দিয়েছেন। অথচ বিএনএফ এর মূল কারিগর সেই টিপু বিনা বাধায় মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক হয়ে বসে আছেন। মাঝ খান দিয়ে অযথাই সমালোচিত হলেন রাজিব। যদিও বর্তমানে তিনি সুপার হিরোতে পরিনত হয়েছেন এবং সত্যের জয় হয়েছে বলে মনে করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।