গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে বিএনপি নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

122
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে বিএনপি নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সরকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস কোম্পানী আবারও গ্যাসের দাম চূলা প্রতি এক লাফে ৫১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এই খবর দেশের জাতীয় গণমাধ্যম গুলিতে প্রচার হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। মানুষ মনে করছে দেশে জনগনের নির্বাচিত কোনো সরকার না থাকায় জনগনের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহীতা বা দায়বদ্ধতা নেই। তাই যতোদিন দেশে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততোদিন সরকারী দলের লোকেরা লুটপাট চালানো অব্যাহত রাখবে। এ কারনেই খাদ্য দ্রব্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বাংলাদেশে অনেক বেশি। বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকছে। গতকাল এ প্রতিনিধিকে এসব কথা বলেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য সহ সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধির মূলে রয়েছে মানুষের ভোটের অধিকার না থাকা। কারন সরকার মনে করে তাদেরকে ক্ষমতায় যেতে জনগনের ভোটের কোনো দরকার নেই। তাই জনগনের জন্য কোনো কিছু করারও দরকার নেই। মানুষের প্রতি যদি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা থাকতো তাহলে এভাবে বার বার তেল, গ্যাস, বিদ্যুতর দাম বাড়াতে পারতো না। তখন সরকার মনে করতো মানুষকে কষ্ট দিলেতো তাদের ভোট পাওয়া যাবে না। তাই আমি মনে করি দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই বলেই এভাবে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলেছে সরকার।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিও খবরে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান। তিনি বলেন দেশে অবাধে লুটপাট চালিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঁচার করা হচ্ছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরন করে নিজেরা একটি সিন্ডিক্যাট কওে দেশ চালানোর নামে লুটপাট চালাচ্ছে। তিনি বলেন আপনারা জেনেছেন মার্কিন যুক্তরাস্ট্র থেকে সরকার চিনি কিনে আনছে। কারন ওই দেশে চিনির দাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। অথচ এতোদিন সরকার বলেছে পৃথিবীর সব দেশেই নাকি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বহু দেশের মানুষের আয় আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ব্যায় আমাদের চেয়ে কম। তার বড় প্রমান হলো উচ্চ আয়ের দেশ আমেরিকায় চিনির মূল্য বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক। তাই সেই দেশ থেকে চিনি কিনে দেশের চাহিদা পূরন করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন হলো কেনো বাংলাদেশে সব কিছুর দাম এতো বেশি। এই প্রশ্নের সোজা উত্তর হলো বাংলাদেশে সরকারের কোনো জবাবদিহীত নেই। তাদের ভোটে হেরে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। তাই আমরা মনে করি এই লুটরা সরকারকে হঠাতে তীব্র গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। যতোদিন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততোদিন দেশে কোনো কিছুর দাম কমবে না। বরং আরো বাড়বে এবং আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে।