গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির খবরে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া উভয়ে চিন্তিত...

গ্যাস-বিদ্যুতসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ

29
গ্যাস-বিদ্যুতসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গ্যাসের দাম চুলা প্রতি ৫১২ টাকা বাড়ানোর খবরে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র চরম দুশ্চিন্তগ্রস্ত হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। বিভিন্ন বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বলছেন সরকার যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে তাতে তাদের পক্ষে আর শহরে বাস করা সম্ভব হবে না। কারন গ্যাসের দামের এই বাড়তি টাকাটা তাদেরকেই দিতে হবে।

তারা জানান, একটি বহুতল ভবনে যে কয়টি পরিবারই বাস করুকনা কেনো তাদের মাঝে একটি চুলার বিল পরিশোধ করেন বাড়িওয়ালা। বাকী প্রত্যেককে তার নিজ নিজ চুলার বিল পরিশোধ করতে হয়। বাড়িওয়ালারা গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল আলাদা করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেন। তাই সরকার যেভাবে বছরে বছরে গ্যাস আর বিদ্যুৎ বিল বাড়াচ্ছে তাতে এখন আর তাদের পক্ষে শহরে বাস করাই মুশকিল হয়ে পরেছে। গ্যাস বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাড়াতো রয়েছেই।

আবার, তারা যে গ্রামে ফিরে যাবেন সেখানেও কোনো লাভ নেই। গ্রামেও বোতলজাত গ্যাস কিনে রান্না করতে হয় আর বিদ্যুৎ বিলতো রয়েছেই। তাই গ্রামে গেলেও না খেয়ে থাকতে হবে। তাই এখন তারা চরম বিপাকে পরেছেন।

অপরদিকে, বাড়িওয়ালারাও এভাবে দফায় দফায় গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারনে বিপাকে পরেছেন। কারন বাড়তি খরচের চাঁপে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বাসা যদি খালি পরে থাকে তাহলেও বাড়িওয়ালাকে গ্যাস বিল পরিশোধ করতেই হয়। একে তো জিনিসপত্রের যে দাম তাতে তাদের সংসারই চলে না। তার উপর এভাবে গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তাদেরকে একেবারে না খেয়ে থাকতে হবে।

তাই নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করেন আসলে দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই এবং ক্ষমতায় যেতে জনগনের কোনো ভোট লাগে না, এ কারনেই সরকার এভাবে সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের কিছু সুবিধাভোগী জনগনের টাকা লুটপাট করছে।

একদিকে দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে তার উপর সরকার আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিও চেষ্টা করছে বলে খবর বেরিয়েছে। মানুষ রান্না করার গ্যাস পাচ্ছে না, তার উপর আবারও দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। এতে দেশের সাধারন মানুষের কোনো আয় বাড়ছে না বরং ক্রমাগত ব্যায় বেড়ে চলেছে। তাই আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পরেছে।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসে চুলায় একেবারেই গ্যাস থাকছে না এবং আবারও প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আাসা করছে। লোডশেডিং হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। এতে এই প্রচন্ড গরমে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে মানুষ। ঘরে ঘরে রাতে ঘুমাতে পারছে না সাধারন মানুষ। যদিও গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টিপাত হলেও বর্তমোনে তাপমাত্রা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তীব্র গরমে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে দেশের সাধারন মানুষ। বিশেষ করে যে সকল ঘরে ছোটো শিশুরা রয়েছে সেই সকল ঘরে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে পিতামাতারা। প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে বহু মানুষ।

অপরদিকে বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি বিগত প্রায় এক মাস ধরে চরম গ্যাস সংকটও বিরাজ করছে সারা নারায়ণগঞ্জে। এতে ঘরে ঘরে খাবার রান্না করতে পারছে না গৃহিনীরা। অনেকে অভিযোগ করেছেন পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে সারা দিন এক ফোঁটা গ্যাসও থাকে না। কোনো কোনো এলাকায় মাঝ রাতে গ্যাস আসলেও ভোর পাঁচটার আগেই আবার গ্যাস চলে যায়। তাই গ্যানের অভাবে কঠিন পরিস্থিতির মাঝে দিন কাটাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ। ফলে গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।