যে কারণে শাহ্ আলমের সাথে নেই বিএনপির নেতাকর্মীরা

77
যে কারণে শাহ্ আলমের সাথে নেই বিএনপির নেতাকর্মীরা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নগদ টাকা ছিটিয়েও কমিটি করার জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না শাহ আলমের অনুসারীরা। কয়েকটি কারনে শাহ আলমের পেছনে আর যেতে রাজী হচ্ছে না মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই তারা ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়নে আগাছা-পরগাছা দিয়ে অবৈধ কমিটি করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন।

এসব কারণের মাঝে অন্যতম তিনটি কারণ হলো ১) শহআলম কখনোই কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি একজন ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বুঝলেও রাজনীতি বুঝেন না। এটা সবাই জানে শাহআলম বিএনপিতে এসেছিলেন এমপি হতে। এমপি হতে পারলে তিনি তার ব্যবসা আরো বাড়াতে পারতেন। কিন্তু সরকার জোর জুলুমের পথ বেঁছে নেয়ায় ভয় পেয়ে একেবারে রাজনীতিই ছেড়ে দেন শাহআলম। অথচ বর্তমান অবস্থায় তিনি যদি রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে কোনো মতেই রাজনীতি ছাড়তেন না বলেই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এটা বুঝে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আর শাহআলমের পেঁছনে যেতে চাচ্ছেন না।

২) তিনি বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর টাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের বশ করে রাখতে চেয়েছিলেন। আসলে তার কোনো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বা ক্যারিশমা নেই। বিএনপিতে যোগ দেয়ার আগে তিনি কল্যান পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই বড় কোনো রাজনৈতিক দল করার অভিজ্ঞতাও তার নেই। টাকার জোরে কিছুদিন রাজনীতি করা গেলেও সব সময় করা যায় না। টাকা দিয়ে আর যাই হোক দীর্ঘ মেয়াদী রাজনীতি হয় না। তাই যারা টাকার লোভে এখনো শাহআলমের পেছনে পরে আছেন তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। ফলে অধিকাংশ নেতাকর্মী বুঝতে পেরেই এখন আর দল ত্যাগী শাহআলমের পেছনে যাচ্ছেন না।

৩) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমানকে ভয় পান শাহআলম। শামীম ওসমান নির্বাচন করলে শাহআলম নির্বাচন করবেন না এটা সবার জানা। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, গিয়াস উদ্দিন মাঠে নামার পর থেকে বিচলিত হয়ে পরেছেন শামীম ওসমান। তাই গত কয়েক মাস ধরে শামীম ওসমানের সাথে গিয়াস উদ্দিনের রাজনৈতিক বাক যুদ্ধ চলছে। এটা দেখেই শামীম ওসমানের সাথে যোগযোগ করেছেন শাহআলম। তিনি শামীম ওসমানের অনুমতি নিয়েই নতুন করে তার কিছু পালিত নেতাকর্মীকে মাঠে নামিয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রে গিয়াস উদ্দিনের সাথে শাহআলম বিরোধ জড়ালে রাজনৈতিক লাভ শামীম ওসমানের। কারণ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগে শামীম ওসমানের কোনো বিকল্প নেই। তাই এখানে আওয়ামী লীগে তেমন কোনো বিরোধও নেই।

কিন্তু বিএনপিতে শাহআলম মাঠে নামলে কিছুটা হলেও সাংগঠনিক বিশৃংখলায় পড়বে বিএনপি। এতে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন শামীম ওসমান। তাই শামীম ওসমানই শাহআলমকে নতুন করে মাঠে নামার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এটা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেনে সজাগ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই দলের বেশ কয়েকজন নেতা।

মূলত এই তিন কারনে নতুন করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে রাজনৈতিক অপতৎপরতা শুরু করেছেন দল ত্যাগী নেতা শাহআলম। আপাতত গিয়াস উদ্দিন তথা বিএনপির ক্ষতি করাই তার আসল টার্গেট।