জেলা বিএনপির আহবায়কের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ সেন্টুর, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মেনে নিচ্ছে না তাকে...

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নিয়ন্ত্রন যাচ্ছে সেন্টুর হাতে!

123
কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নিয়ন্ত্রন যাচ্ছে সেন্টুর হাতে!

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

মনিরুল আলম সেন্টু যাকে চাইবেন তিনিই হবে কুতুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, মূলত এমন কথাই এখন শোনা যাচ্ছে কুতুবপুরের বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে। সূত্র জানায়, শহীদুল ইসলাম টিটু ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি হওয়ার কারনে পরোক্ষভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপির নিয়ন্ত্রনও কিছুটা সেন্টুর হাতেই রয়েছে।

তবে থানায় সদস্য সচিব হিসাবে সিনিয়র নেতা এডভোকেট বারী ভুইয়া থাকার কারনে এখানে ইচ্ছে মতো সব কিছু নিয়ন্ত্রনে নেয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু যেকোনো মূল্যে কুতুবপুরের নয়টি ওয়ার্ডের নিয়ন্ত্রন নিতে চান মনিরুল আলম সেন্টু। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি যাকে চান তিনিই হবে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

তাই এখন প্রশ্ন হলো কুতুবপুরের সভাপতি হিসাবে সেন্টু কাকে চান? এই মুহুর্তে এই ইউনিয়নের সভাপতি হতে মূলত পাঁচজন নেতার আগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরা হলেন হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, বর্তমান সভাপতি লুৎফর রহমান খোকা, বর্তমান আহবায়ক বিল্লাল হোসেন, বিএনপি নেতা দীন ইসলাম দীলু এবং শ্রমিক দল নেতা বাবুল আহম্মেদ।

এদের মাঝে লুৎফর রহমান খোকা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হওয়ায় তিনি এই পদে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে সূত্র জানিয়েছে, এই নেতাদের মাঝে মনিরুল আলম সেন্টুর পছন্দ হলেন শ্রমিক দল নেতা বাবুল।

এদিকে সূত্র আরো জানিয়েছে, কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড কমিটি ভেঙ্গে নতুন যে কমিটি করা হচ্ছে সেই কমিটিগুলিতে পূরোনো নেতাদের অনেককেই বাদ দেয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান সেন্টু একটি নতুন তালিকা করে দিয়েছেন। তাই তার তালিকা ধরেই করা হচ্ছে নতুন কমিটি। এক কথায় প্রায় সব দিক থেকেই কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নিয়ন্ত্রন নিচ্ছেন মনিরুল আলম সেন্টু চেয়ারম্যান।

এদিকে কুতুপুরের বিএনপি নেতা কর্মীরা আরো জানান, সেন্টু বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও বাস্তবে তিনি বিএনপিতেই যেনো রয়ে গেছেন। কুতুবপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নোতাকর্মীরা তাকে গ্রহন করেনি। সেন্টু নিজেও কখনো নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে পরিচয় দেননি। কেবলমাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচনে জিতার জন্য তিনি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন মাত্র। তাই আগামী দিনে যদি সরকার পরিবর্তন হয় তাহলে তিনি বিএনপিতে ফিরে আসার পথ আগেই পরিস্কার করে রেখেছেন বলে জানান তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিএনপি নেতা। তাই তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহুম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে জানা গেছে।