মহানগর বিএনপিতে আগামী দিনের রাজনীতি...

যে সকল কারইে সাখাওয়াতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন আশা?

66
যে সকল কারইে সাখাওয়াতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন আশা?

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আসলে কোন পথে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক পরিস্থিতি? এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে আহবায়ক এবং আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে বর্তমান কমিটি করার পর সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের পরিবারের সদস্যরা এবং তাদের অনুসারী বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন।

এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন আতাউর রহমান মুকুল এবং আবুল কাউসার আশা। এছাড়া এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোটো ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কোনো পদই পান নাই। তবে যারা পদত্যাগ করেছেন তারা পদত্যাগের পর কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।

শুধু তাই নয় এই শহরে তারা পৃথক দুটি শোডাউনও করেছেন। দুই পক্ষের শোডাউনেই নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তাই শেষ পর্যন্ত এই মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি কিভাবে গঠিত হয় সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ শহরের রাজনীতিতে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান। এরই মাঝে তিনি বার বার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একবার বিএনপির প্রার্থী হিসাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। এবার তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনোনীত হলেন। তাই তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে তিনি এরই মাঝে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। তাই আগামী দিনগুলিতে এডভোকেট সাখাওয়াতের রাজনীতি তার দৃঢ়তার উপরই নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, এডভোকেট সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে এখন সক্রিয় রয়েছেন তিন নেতা। এরা হলেন নাসিক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, তার চাচা আতাউর রহমান মুকুল এবং আরেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে এই তিনজনের মাঝে একমাত্র আশার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। দাদা এবং বাবার পথ ধরে এক সময় পরিস্থিতি নিজের অনকুলে নিতে সক্ষম হতে পারেন তিনি।

কিন্তু মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এরই মাঝে পঁচা শামুকে পা কেটেছেন এবং তার ভাই তৈমুর আলম খন্দকার দলের স্বিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করায় তার গোটা পরিবার বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেকটাই ছিটকে পরেছেন।

সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলও জাতীয় পার্টির প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমান এবং বর্তমান এমপি সেলিম ওসমানের সাথে সক্ষতা গড়ে তুলেছেন। এছাড়া তার কিছু বিতর্কিত ছবি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ভাবে অনেকটাই পরিচ্ছন্ন রয়েছেন আবুল কাউসার আশা।

তাই তিনি যদি মাথা ঠিক রেখে সঠিক পথে নিজেকে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে দাদা ও বাবার ঐতিহ্যকে ধরে রেখে তিনি এক সময় ঘুরে দাড়াতে পারেন বলে অনেকে মনে করেন। ফলে আগামী দিনের রাজনীতিতে এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান এবং আবুল কাউসার আশার মাঝেই দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।