চাঁদাবাজি মামলায় পলাশের জামিন

113
চাঁদাবাজি মামলায় পলাশের জামিন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

যুবলীগের এক নেতার দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেজবাউর রহমান পলাশ। গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় পলাশ ছাড়াও চীফ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত থেকে আরও তিনজন জামিন পেয়েছেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী এড. মুহাম্মদ মহসীন মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালতে (সিআর-৮৮৭/২২) মামলা করেন কাশীপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দেয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক মোশারফ মামুন কয়েকজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে আদালত কাশীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মেজবাউর রহমান পলাশ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাহা, ঝুট ব্যবসায়ী মাসুম ওরফে কাইল্লা মাসুম, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রতন দেওয়ানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে।

এর আগে একই অভিযোগে চলতি বছরের গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানায় আরও একটি মামলা ৪২(০২)২২ করেন সাইফুল ইসলাম রনি। ওই মামলায় পলাশকে এক নম্বর আসামী করা হয়। মামলায় অন্য আসামীরা হচ্ছেন-মাসুম ওরফে কাইল্লা মাসুম, রতন দেওয়ান, সাহাবুদ্দিন, রানা সিকদার, আয়নাল হক, জিতু সরদার, সাইফুল ইসলাম ও রুবেল। মামলায় আরও ১০/১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামী সাহাবুদ্দিন কাশীপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রতন একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় বাদী রনি তার সঙ্গী আরিফ ইকবাল, জামিল, সিমরান ও বাসেদ আলীকে নিয়ে ক্রোনী এ্যাপারেলস এর ঝুট নামাতে যাবার সময় সকল বিবাদীরা বাদীর পথরোধ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে এই এলাকায় ব্যবসা করতে পারবি না বলে শাসায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিবাদীরা লাঠি, হকিস্টিক, রড নিয়ে বাদীকে মারতে এগিয়ে আসে। ‘ভয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে আসে বাদী। পরবর্তীতে তারা রনিকে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।’

পরবর্তীতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্রোনী এ্যাপারেলস এর ঝুট নামানোর সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কাশীপুর হাটখোলা এলাকা থেকে মাসুম ওরফে কাইল্লা মাসুম, জিতু সরদার ও রানা সিকদারকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। তবে মামলা দু’টি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।