বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মিলিত হচ্ছেন আ.লীগ ও বিএনপির নেতারা...

“বিএনপিকে হামলা মামলায় বিপর্যস্ত করে তুলেছে পুলিশ”

172
“বিএনপিকে হামলা মামলায় বিপর্যস্ত করে তুলেছে পুলিশ”

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজে প্রকাশিত রিপোর্টের সাথে একমত পোষন করে এ প্রতিনিধিকে টেলিফোন করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন বিএনপি নেতা। তাদের মতে বিগত প্রায় পনেরো বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও এই দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর কোনো রকম জুলুম নির্যাতন করেনি।

জানা গেছে, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নানা রকম ব্যবসা বানিজ্য নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। টাকা কামানোর দিকেই তাদের নজর। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর সাথে তাদের বেশ ভালো সম্পর্কও রয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দুই দলের নেতাকর্মীরা এক সাথে মিলিত হচ্ছেন। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তাদের তেমন কোনো বিরোধ নেই বললেই চলে।

কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরে বিগত পনেরো বছর ধরে থেমে থেমে বিএনপিকে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হামলা মামলায় পর্যূদস্তু করছে পুলিশ। আর সর্বশেষ বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালীতে প্রকাশ্যে গুলি করে শাওন নামক এক যুবদল কর্মীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের আসামী করে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছিলো, তবে আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। এক কথায় এই শহরের বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে পুলিশই বাধা দান করছে। কোনো আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী কখনো বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মীর উপর হামলা করেছে বা নির্যাতন করেছে এমনটি দেখা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতারা মাঝে মাঝে বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও বাস্তবে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ বাধা দিয়েছে এমন কোনো নজির নেই। এমন কি সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বা তাদের কোনো কর্মী স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো উস্কানীমূলক বক্তৃতা দেননি। তাই নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন, বিএনপির কর্মসূচিগুলিতে সরকারের নির্দেশে হোক অথবা অতি উৎসাহী হয়ে হোক পুলিশই নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে এসেছে।

এদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত প্রায় ষোল বছর ধরে বিএনপি রাস্ট্র ক্ষমতার বাহিরে। কিন্তু এর মাঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর বাদ দিলে গত চৌদ্দ বছর ধরে রাস্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এই চৌদ্দ বছরে আমাদের উপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এসব হামলা মামলার সবই করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর কোনে হামলা করেনি বা আমাদের কারো উপর কোনো রকম নির্যাতন করেনি।

একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির এক নেতা। তিনিও বলেন আমরা এই শহরেই বসবাস করছি। দল কোনো কর্মসূচি দিলে আমরা মাঠে নামি। আর এতে বাধা দেয় পুলিশ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো রকম বাধা দেয় না। তাই আমি মনে করি এই শহরে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মাঝে এক ধরনের সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা মোকদ্দমা দিয়ে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

মূলত এভাবেই আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাঁচক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে তারা মনে করেন পুলিশের বাড়াবাড়ি সকল সীমা অতিক্রম করেছে।